রাজার দুই চোখ বইয়া পড়ে দরিয়ার পানি।
এত বাছ্যা নিছ্যা কন্যা হইল মালীর ঘরণী॥
যা থাকে কূলে যা থাকে কপালে। কন্যা দিবাম এরে। বিধাতা লিখ্যাছে দুঃখ কে খণ্ডাবে। রাজার কন্যা পবন কুমারীর সঙ্গে মালীর হইল বিয়া।
রাজ্যের লোক করে হায় হায়।
এমন দুঃখের রজনী পোষায়॥
তারা কত খাইত কত পিন্ত[১]।
কত আমোদ উল্লাস কর্ত॥
না বাজিল ঢোল, না বাজিল ডাগ্রা, রাজ্যে না জ্বালিল বাতি।
অভাগ্যা মালী হইল রাজ কন্যার পতি॥
রাজা হুকুম দিল। মালীর বাড়ীতে এক ভাঙ্গা ঘরে রাজকন্যা আছে থাকে খায়। নিদ্রা যায় খেংরা চাটিতে শুইয়া। রাজকন্যার মনে কোন দুঃখ নাই সতী পতি লইয়া পরম সুখে আছে। রাজা হুকুম দিল, বার ভাণ্ডারের ধান চাউল গোলা ভইরা দেও। আমার কন্যা যেন দুঃখ না করে। আমার বড় সোহাগের ধন।
মাথায় থুইলে উকুনে খায়।
মাটিতে রাখলে পিঁপড়ায় খায়॥ (১—৫৩)
কত যত্নে তারে পালন করছি। রাজার কান্দনে পাথর গলে। রাণীর কান্দনে দরিয়া ভাসে। এইমতে দিন যায়।
- ↑ পিন্ত=পরিত