তুমি রে পুত ন ভাবিও আমারে বেগানা[১]।
মার পেডের ভৈন রে বিয়া সরামতে[২] মানা॥”১৮
বসিয়া পড়িল মালেক এই কথা শুনিয়া।
আচমান ভাঙি পৈল যেন কাঁপিল দুনিয়া॥১৯
দুই চোগ হৈল থির কালা হৈল মুখ।
পাত্থরর চাবত যেন ভাঙি যারগই বুক॥২০
আঁধার ঘনাইয়া আইলো সাইগর ডাক ছাড়ে।
পাল তুলি আইসের নুকা দক্ষিণা বয়ারে[৩]॥২১
বুড়া বলে “চল মালেক এখন ঘরে যাই।”
মালেক বলিল “আমি ক্ষাণেক বাদে আই॥”২২
ঘরে গেল বুড়া খেত্যাল ন বুঝিল ফের[৪]।
ফিরি যাইতে কৈল আবার “ন করিও দের॥”২৩
রাঁধিয়া বাড়িয়া নুর হৈল রে অবসর।
আতাইক্যা[৫] তাহার বুক করের ধড়ফড়॥২৪
বাপে খাইলো মায় খাইলো মালেক ন আইলো।
সাইগরের কিনারে হায় কনরে ভূতে পাইলো॥২৫
ঠাণ্ডা হৈল হাইলের[৬] ভাত আর ফাণ্ডা[৭] মাছার ঝোল।
ভাবিতে ভাবিতে নুরর মাথা হৈল গোল[৮]॥২৬
একবার উডে কৈন্যা আরবার বসে।
ঝুরিয়া ঝুরিয়া[৯] পড়ে ঘুমের আলসে॥২৭
আধা রাইতে চেতন পাইয়া খেত্যাল আজগর।
কৈন্যারে ফুইদ[১০] কার জানিল খবর॥২৮
পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (চতুর্থ খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১২৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নুরন্নেহা ও কবরের কথা
১২৫