পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

MSPSS resortes বুড় রাজনারায়ণ বাবুর হাত ধরতে গেলেন- পাইকদের একজন তঁাকে হাকিয়ে দিল। নায়েববাবু वर्कन, “জালাতন করলে আর কি ? কেন বাড়ী বন্দক দেওয়ার সময় মনে ছিল না ?” এই বলে আর উত্তর শোনবার প্রতীক্ষা না করে তিনি দপ্তরখানায় চলে গেলেন। বুড় ও তার স্ত্রী কঁদতে কঁাদিতে বাড়ীর দিকে রওনা হ’লেন । পুকুরের পাড়ে গিয়ে ব্ৰাহ্মণী আর চলতে পারেন না, তিনি বসে পড়ে কপালে হাত দিয়ে মৃদুস্বরে কেঁদে কেঁদে বলতে লাগলেন, “আমি মরা ছেলেটাকে কি ক’রে নে যাব ? প্যায়দার এসে যে দিন প্ৰথম ঢোল বাজায়, সেই ঢোলের শব্দ শুনেই ত বাছার ভয়ে জার হ’য়েছে।--তার বুড় মা বাপ কোথায় দাড়াবে- এই ভয়ে ত সে খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিল। আজ বাবা ১১ দিন ভাত খায় নি, একটু বালি কিনে দিচ্ছি, কাল বালিও নেই, কোথায় তাকে নিয়ে যাব ?” বুড় তার স্বীর বিলাপ শুনে পাগলের মত এ দিক ওদিক চাইতে লাগলেন, তার বড় দুটি চোখ জলে ভেসে যেতে লাগিল । রমেশ এই দৃশ্য দেখে ছুটে খেয়ে বাবার কাছে উপস্তিান্ত । সে বল্পে “বাবা, তুমি রাম-চাটুৰ্য্যেকে ভিটে ছাড়া করাচ্ছি ? ওর ছেলে সুধানাথই তো ময়লা কাপড় পরে --অামার সঙ্গে খেলতে আসে, বাড়ী ছাড়লে ওরা যাবে কোথা ?” হৃদয়েশীবাবু বিরক্তির সুরে বল্লেন “আচ্ছা রেমো, তুই কি সকল কথার মধ্যেই থাকিবি ? জমিজমা বিষয়-সংক্রান্ত কথা, ছেলে মানুষ তুই -- তোর থাকার দরকার কি ? টাকা ধার নিয়েছে, দিতে পারে নাই, বন্দকী জমি ডিক্ৰী করে নেওয়া ছাড়া আর ; কি করে টাকা আদায় হয়, বল। যা বাড়ীর ভেতর যেয়ে জলটল খাবি থাগে। সব কথার মধ্যে থাকিস না।” SR SR