জীবন স্মৃতি পূজনীয় সার গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় স্বতঃ-প্রণোদিত হইয়া তঁহার আদর্শ জীবনের শিক্ষাপ্রদ কাহিনী লিপিবদ্ধ করিলে, বঙ্গ সাহিত্যের চরিত্যাখ্যান বিভাগে একটী অমূল্য রত্ন সঞ্চিত হইতে পারিত। মার্কাস অরিলিয়াস ও সেণ্ট অগাষ্টিন হইতে, ফ্রাঙ্কলিন, রুসো, মিল ও টলষ্টয় পর্যন্ত, মানবজাতির শীর্ষস্থানীয় অনেক মনীষী, আত্ম-জীবন-চরিত রচনায় দ্বিধা বোধ করেন নাই। বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের বিনয়-মূলক সঙ্কোচ এই কর্ত্তব্য সাধনে সর্বপ্রধান অন্তরায়। শ্রদ্ধামাত্র-সম্বল অক্ষম লেখকের নির্বন্ধতিশয্যে সার গুরুদাসের চরিত-রত্ন-মঞ্জুষ হইতে নো সম্পদ আহৃত চইয়াছে, বঙ্গীয় পাঠক সমাজে তাহা নিবেদিত হইল। ডায়মণ্ড হারবারের নিকটবর্ত্তী বরুণগ্রামে সার গুরুদাসের পূর্বপুরুষদিগের বাস। . তাহার পিতামহের নাম মাণিকচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থে পার্জন হেতু তিনি কলিকাতায় আসিয়া, পটলডাঙ্গায় এক আত্মীয়ের ভবনে আশ্রয় লন। ধনাগমের চেষ্টায় যৌবনকালে ইংরাজী শিক্ষা আরম্ভ করিলে, একজন বিভ্রাপ করিয়া বলে, বুড়ো মিনাষে আবার এ, বি, সি, পড়াচে-ইহাতে র্তাহার ঐ ভাষা আয়ত্ত করিবার ইচ্ছ। আরও প্রবল হয়। দাসখতে সহি করিবার ভাষায় কিঞ্চিৎ অধিকার জন্মিলে, তিনি গুল ক্যামেল কোম্পানির আফিসে নিযুক্ত হন। তথায় তঁাহার বেতন পঞ্চান্ন টাকা পর্য্যন্ত হইয়াছিল। সে কালে মাসিক পঞ্চান্ন টাকা আয়েও লোকে দু’পয়সার মুখ দেখিতে পারিত। লক্ষ্মীর কৃপা হইতে আরম্ভ হইলে,