及之 औदन डि। মাণিকচন্দ্র কলিকাতায় ভদ্রাসন প্রস্তুত করিবার জন্য ব্যস্ত হইলেন। তাহার প্রতিজ্ঞা ছিল যে, তিনি অপরের বাস্তুভিটা উঠাইয়া তথায় বাস করিবেন না। মনোমত জমির অনুসন্ধানে তিনি নারিকেলডাঙ্গায় উপস্থিত হন এবং বর্তমান ষষ্টীতলা রোডের নিকটবর্ত্তী এক কলাবাগান ক্রয় করেন। তখন উহার মূল্য ছিল কুড়ি টাকা কাঠা। মাণিকচন্দ্র তথায় একতলা পাকা চণ্ডীমণ্ডপ ও শয়নঘর এবং গোলপাতার পাকশাল ও গোয়ালঘর নির্ম্মাণ করেন। ভবিষ্যতে সার গুরুদাস, মাতৃদেবীর আদেশানুসারে, পিতামহের নির্ম্মিত বনিয়াদের উপরেই ঠাকুরঘর তৈয়ারী করেন। বাটী ও বাগানের পরিসর ক্রমশঃ বদ্ধিত করিয়া, এখন তিনি তিন বিঘায় हैंg कब्राईब्रांछन। পিতামহের আত্মবিলোপ সম্বন্ধে সার গুরুদাসের নিকট একটি গল্প শুনিয়াছি। শুদ্ধ কলাবন দেখিয়া, মাণিকচন্দ্রের গৃহিণী তাহাকে বলেন যে এমন জায়গা। কিনলে, যেখানে তোমার নিজের পুকুর নাই, পরের পুকুরে সরতে হয়। তঁহার বাটীর পশ্চিম ধারের পুষ্করিণী ক্রয় করা যখন তঁহার অত্যাবশ্যক, ঠিক সেই সময়ে একজন প্রতিবাসী কায়স্থ-বন্ধু আসিয়া, ঐ পুকুর লইবার ইচ্ছা প্রকাশ করিলে, মাণিকচন্দ্র দ্বিরুক্তিমাত্র করেন নাই। ভবিষ্যতে ঐ কায়স্থের উত্তরাধিকারীর নিকট সার গুরুদাস র্তাহার সদরের পুষ্করিণী ক্রয় করেন। সত্তর আশী বৎসর পূর্বে নারিকেলডাঙ্গায় অসংখ্য ডোবা ও পুকুর ছিল, কেন না সহরের গৃহ নির্ম্মাণের অধিকাংশ ইষ্টক তখন উক্ত অঞ্চলে তৈয়ারী হইত। সার গুরুদাসের পিতা রামচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। কার টেগোর কোম্পানির আফিসে কর্ম্ম করিতেন। পিতৃদেবের R. C. B.:স্বাক্ষরযুক্ত একখানি পুস্তক এখনও তঁহার নিকট আছে। রামচন্দ্রের হস্তাক্ষর অতি সুন্দর ছিল। তঁহার শিশু পুত্রকে কোলে বসাইয়া, তিনি প্রত্যহ গীতা পাঠ