পাতা:অন্ধকারের আফ্রিকা.djvu/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७२ ।। অন্ধকারের আফ্রিকা কথা বরং ‘সুখীই হয়েছিলাম। বাধা দিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম ‘অন্যান্য হিন্দি বলতে বলতে আপনারা কি বুঝেন? তারা বলেন “আমরা যখনই অন্যান্য হিন্দি বলি তখন বুঝবেন বৌদ্ধধমাবলম্বী হিন্দি। জহরলাল একজন বুদ্ধিস্ট, তা নয় কি ? আমিও ঘাড় নেড়ে বলেছিলাম, তাই। ভারতের অন্যান্য হিন্দিরা আৱব ব্যবসায়ীদের অভ্যর্থনা করেনি শুনে আমার দুঃখ হয়েছিল। ভাবছিলাম ধার-এ-সেলাম গিয়ে এ সম্বন্ধে একটা প্রবন্ধ লিখে স্বদেশের কোন সংবাদপত্রে পাঠাব। কিন্তু তা হতে বিরত হয়েছিলাম, কারণ আমাদের দেশের পর্যটকের কথার এখনও কোন মূল্য নাই। যে সময়ে পর্যটকের কথার দান হবে তখনকার পর্যটকদের উপর এ সব খুটিনাটি কথা লেখার ভার রইল। যথাসময়ে জাহাজ দ্বার-এ-সেলামে এসে উপস্থিত হ’ল । জাহাজখানা যখন ডকের দিকে চলছিল তখন দেখলাম একখানা জাহাজ ডুবে রয়েছে। সংবাদ নিয়ে জানলাম। এ জাহাজ জার্ম্মানদের ছিল এবং গত মহাযুদ্ধের সময় বৃটিশ রণপোত জাহাজখানাকে ঘায়েল করেছিল। ঘায়েল করা নিমজ্জিত জাহাজকে এরূপ অবস্থায় ফেলে হ’ল: য়’ দরকার ছিল না । এই জাহাজ এক দিকে যেমন বৃটিশের স্কুণবিজয়ের চিহ্ন বজায় রাখছিল। অন্য দিকে তেমনি জার্ম্মান জাতের মাঝে এক নব চেতনা এনে দিচ্চিল যার প্রভাবে জার্ম্মান জাত নতুন উদ্যমে গড়ে উঠছিল । আমাদের ছোট জাহাজখানা যখন ডকে ভিড়ল তখন দেখতে পেলাম একখানা জার্ম্মান মালবাহী জাহাজ স্বস্তিক পতাকা দুলিয়ে প্রবল বেগে রোম্বভরে বন্দর পরিত্যাগ করে চলে যাচ্ছে। একই সংগে দুটি দৃশ্য দেখে অনেকেই নানা কথা ভাবছিল—“আমি কিন্তু সে দৃশ্যটিকে সাধারণ ভাবেই গ্রহণ করছিলাম। আমার কাছে জার্ম্মান