"So थेडिशनिक ष्यि। বলিয়া লক্ষ্মণ সেন তথা হইতে চলিয়া গেলেন। আর আর সকলেই ক্ৰমে সে স্থান পরিত্যাগ করিলেন । যথা সময়ে বিবাহ আরম্ভ হইল। সন্ন্যাসী ঠাকুর কল্যাণশেখরকে লইয়া বিবাহমণ্ডপে উপস্থিত হইলেন । সুসজ্জিত বিবাহমণ্ডপ দানসামগ্ৰীতে পরিপূর্ণ হইয়া শোভা পাইতেছিল। যথারীতি মস্ত্ৰোচ্চারণের পর বল্লালসেন কল্যাপাশেখরকে। সাধনা সম্প্রদান করিয়া বলিলেন,-“আমি রত্ন, অলঙ্কার, শয্যা, আসন প্ৰভৃতি দান-সামগ্রীসহ সাধনাকে রাজা কল্যাণশেখরকে সম্প্রদান করিলাম। আর মাতা শুষ্ঠােমরূপাকে যৌতুক faţa l” লক্ষ্মণসেন পার্শ্বে দাড়াইয়াছিলেন, তিনি বলিয়া উঠিলেন,-“শ্যামরূপাকে যৌতুক দিবার অধিকার কাহারও নাই।” শুনিয়া কল্যাণশেখর সন্ন্যাসীর দিকে চাহিলেন । সন্ন্যাসী ইঙ্গিতে র্তাহাকে স্থির থাকিতে বলিলেন। সে দিবস নির্বিঘ্ৰে বিবাহ-ব্যাপার ংসাধিত হইয়া গেল । কল্যাণকূট পৰ্বতমালার পাদদেশে শোভনপুর গ্রাম কয়েকখানি তৃণকুটীর বক্ষে লইয়া বিরাজ করিতেছিল। বর্ষার মেঘ আজি যেন শোভনপুরের আকাশ হইতে সরিয়া কোন দূরদেশে চলিয়া গিয়াছে। মেঘমুক্ত তপনের নবালোকে গ্রামখানি হাসিয়া উঠিতেছিল। এদিকে ওদিকে শ্যামল বৃক্ষপত্রের উপর। প্ৰভাতের রৌদ্র পড়িয়া ঝিকি মিক্ করিতেছিল। কিছু দূরে কল্যাণকুটের শিখরস্থ প্রস্তরপুঞ্জের গায়ে সুৰ্যকিরণ লাগিয়া হীরকখণ্ড বলিয়া ভ্ৰম জন্মাইতেছিল। প্ৰান্তরে কৃষকগণ’গ্ৰাম্যগীতি গাহিতে গাহিতে ধান্য-রোপণে নিযুক্ত ছিল। গো, মেষ, মহিষ দলে দলে শুষ্ঠামল নবীন তৃণরাজি ভক্ষণ করিতে করিতে ইতস্ততঃ বেড়াইতেছিল। রাখালগণ৷ বৃক্ষতলে বসিয়া কাহিনীর স্রোত বহাইতেছিল ও মধ্যে মধ্যে গো=মহিষগণকে ধান্তক্ষেত্রে প্রবেশ করিতে বাধা দিতেছিল। ।