পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত - বৃন্দাবন দাস ঠাকুর .pdf/৫৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(ሉዓ8 শ্ৰীশ্ৰীচৈতন্যভাগবত জয় জয় পতিতপাবন গুণাসিন্ধু। জয় জয় পরম শরণ দীনবন্ধু৷৷৫৬৷৷ জয় জয় ক্ষীরসিন্ধু-মধ্যে গোপবাসী। জয় জয় ভক্ত-হেতু প্ৰকট বিলাসী ॥৫৭৷৷ জয় জয় অচিন্ত্য-অগম্য-আদি-তত্ত্ব । জয় জয় পরম কোমল শুদ্ধ-সত্ত্ব ॥৫৮৷৷ জয় জয় বিপ্ৰকুলপােবন-ভুষণ।। জয় বেদধৰ্ম্ম-আদি সবার জীবন ॥৫৯৷৷ জয় জয় অজামিল-পতিতপাবন। জয় জয় পূতনা-দুষ্কৃতি-বিমোচন ॥৬০৷৷ জয় জয় আদোষ-দরশি রমাকান্ত ।” এই মত স্তুতি করে সকল মহান্ত ॥৬১৷৷ প্ৰভূব পৰম-প্ৰকট-ৰূপ দর্শনে ভক্তগণেব পবমানন্দপরম-প্ৰকট-রূপ প্রভুর প্রকাশ। দেখি পরানন্দে ডুবিলেন সর্ব-দাস ॥৬২৷৷ প্ৰভুল ভক্তগণেব আমায়ান্য স্বচবণ অৰ্পণ ও ভক্তগণেব বিবিধভাবে প্ৰভু-পাদপদ্মপূজাসর্ব মায়া ঘুচাইয়া প্ৰভু গৌরচন্দ্ৰ। শ্ৰীচরণ দিলেন, পূজয়ে ভক্তবৃন্দ ॥৬৩৷৷ দিব্য গন্ধ আনি’ কেহ লেপে শ্ৰীচরণে । তুলসীকমলে মেলি’ পূজে কোন জনে ॥৬৪৷৷ স্থাণু পৰ্যন্ত দৃশ্য জগতেৰ মূলগ্ৰাণ শ্ৰীগৌবহবি বিশেষভাবে জয়যুক্ত হউন ৷৷ ৫৫ ৷৷ ক্ষীবোদকশাষী ব্যষ্টি-বিষ্ণুপ্ৰতীতি গোপকুলেৰ অধিবাসি-সুত্রে মূল আকব-বস্তু ব্ৰজেন্দ্র-নন্দনই গৌবহবি। তিনি তাহাব নিজ সেবা প্ৰকটন ভিলাষে শুক্তিগণের নিকট গৌরলীলা ব্যক্ত কবিয়াছিলেন। পাঠ্যস্তবে “গুপ্তবাস” ॥৫৭৷৷ শ্ৰীগৌবহাবি-বিশুদ্ধ সত্ত্বমব্য ও পবম স্নিগ্ধ। তিনি နှဲ” 으 3 - গন্ধ-“চন্দনাগুরুকপূর্বপঙ্কং গন্ধমিহোচ্যতে"(—শ্ৰীহবিধৃত আগমবাক্য) অর্থাৎ চন্দন, অগুরু, কপুরপঙ্ক-এই সমস্তের নাম-গন্ধ; অথবা “কন্তু রিকায়া দ্বৌ ভাগেী চত্বােরশচন্দনন্ত তু। কুঙ্কুমন্ত মূৰ্ত্তিমান বেদধৰ্ম্ম, সকল জীবেব জীব কুলের পরম পবিত্র অলঙ্কার ॥ ৫৮-৫৫ छख्रि१िलांग ७|}}8 কেহ রত্ন-সুবর্ণ রাজত-অলঙ্কার। পাদপদ্মে দিয়া দিয়া করে নমস্কার ॥৬৫৷৷ পট্ৰনেত, শুক্ল, নীল, সুপীত বসন। পাদপদ্মে দিয়া নমস্কারে সর্বজন ॥৬৬৷৷ নানাবিধ ধাতুপাত্র দেই সর্বজনে। না জানি কতেক আসি পড়ে শ্ৰীচরণে ॥৬৭৷৷ বৈষ্ণবসেবাব মহিমা-> যে চরণ পূজিবারে সবার ভাবনা । অজ, রম, শিব করে যে লাগি” কামনা ॥৬৮৷৷ বৈষ্ণবের দাস-দাসীগণে তাহ পূজে । এই মত ফল হয়, বৈষ্ণবে যে ভজে ॥৬৯৷৷ দূর্ব, ধান্য, তুলসী লইয়া সৰ্ব্বজনে। পাইয়া অভয় সবে দেন শ্ৰীচরণে ॥৭০৷৷ নানাবিধ ফল আনি’ দেন। পদতলে । গন্ধপুষ্প, চন্দন, শ্ৰীচরণে কেহ ঢালে ॥৭১৷৷ কেহ পুজে করিয়া ষোড়শ উপচারে। কেহ বা ষড়ঙ্গ মতে, যেন স্মরে যারে ॥৭২৷৷ কন্তুরী কুঙ্কুম, শ্ৰীকৰ্পাের, ফাগুণ্ডুলি। সবে শ্ৰীচরণে দেই হই’ কুতুহলী ॥৭৩৷৷ চম্পক, মল্লিকা, কুন্দ, কদম্ব, মালতী। নানা পুষ্পে শোভে শ্ৰীচরণ-নখপাতি ॥৭৪৷৷ ত্রযশ্চৈকঃ শশিন:-স্তাচ্চতুঃসমম। কপূবং চন্দনং দৰ্প: কুঙ্কমঞ্চ চতুঃসমম।। সৰ্ব্বং গন্ধমীতি প্রোক্তং সমস্ত সুববল্লভম।” (-শ্ৰীহরিভক্তিবিলাস ৬|১১৫-ধূত গারগড়-বচন ) অর্থাৎ দুইভাগ কৗস্তুবী, চাবিভাগ চন্দন, তিনভাগ কুঙ্কুম ও একভাগ কপূর—এই চারি দ্রব্য একত্র কবিলেই তাহাকে ‘গন্ধা’ বলা যায়। উহা নিখিল দেবগণের প্রিয়। মেলি-( মিলু। ধাতুজা) মিশ্রিত করা, মিশ ॥ ৬৪ ৷৷ পট্টনেন্ত-রেশমেব বস্ত্র, গবদের বস্ত্ৰ ॥ ৬৬ ৷৷ সম্পত্তি পূজা করিবার অধিকার লাভ করেন। ৬৯ ৷৷ বৈষ্ণব বাহ্যতঃ অকিঞ্চন। সেই অকিঞ্চনেব সেবক দাসদাসীগণ বহির্দৃষ্টিতে তদপেক্ষ দরিদ্র বলিয়া সাধারণে বিচার করেন। কিন্তু বৈষ্ণবেব আরাধ্য বিষ্ণু-বৈষ্ণবের সম্পত্তি হওয়াষ। বৈষ্ণবের দাস-দাসীগণ সেই সৰ্বাকাজক্ষ্য