পাতা:আজ কাল পরশুর গল্প.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ed er I কেবল কেশবের নয়, এরকম অবস্থা আরও অনেকের হয়েছে । অন্ন নেই। কিন্তু অন্ন পাওয়ার একটা উপায় পাওয়া গিয়েছে মেয়ের বিনিময়ে। কয়েক বস্তা অন্ন, মেয়েটির দেহের ওজনের দু’তিন গুণ । সেই সঙ্গে কিছু নগদ টাকাও, যা দিয়ে খানকয়েক বস্ত্র কেনা ÇOVO 903 বছরখানেক আগেও কেশব ভাল ছেলে খুজেছে, নগদ গহনা জামা-কাপড় আর তৈজসপত্র সমেত শৈলকে দান করার জন্য । মেয়েকে যথাশাস্ত্র, যথা ধর্ম্ম, যথারীতি দান করতে সে সর্বস্বান্ত হতেও প্রস্তুত ছিল। কিন্তু তার সর্বস্ব খুব বেশী না হওয়ায় যেমন তেমন চলনসই গ্রহীতাও জোটেনি। শৈলীর রূপও আবার এদিকে চলনসই। অথচ বেশ সে বাড়ন্ত মেয়ে । খুজতে খুজতে কখন নিজের, স্ত্রীর, অন্য কয়েকটি ছেলে-মেয়ের এবং ঐ শৈলর পেটের অন্ন-এক পেটা, আধা পেটা, সিকি পেটা অল্প -যোগাতে সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছে, ভাল করে বুঝবার অবকাশও কেশব পায়নি। বড় ছেলেটার বিয়ে দিয়েছিল, ছেলেটা চাকরি করুত স্কুলে তেতাল্লিশ টাকার মাস্টারি। ছেলেটা মরেছে এক বিশেষ ধরণের বিস্ময়কর ম্যালেরিয়ায় । ম্যালেরিয়া জ্বর যে একশো ছয় ডিগ্রিতে ওঠে। আর ভরিখানেক সোনার দামে যতটুকু গা-ফোঁড়া ওষুধ মেলে QOy