পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ).pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ, ১৩১৯ ৷৷ রামায়ণ ও মহাভারত । Σ Σδο হইবে কেন ? আর সে জন্য তিনি নিশ্চয়ই শুভজল নদীতে আসিবেন। (ঞবমেষ্যতি) এরূপ চিন্তা হনুমানের মনে উদয় হইত না । যাহা হউক, ইহাতেই প্রতিপন্ন হইতেছে যে, যে সময় রামায়ণ রচিত হয়, সে সময় দ্বিজকন্যাগণ যথারীতি সন্ধ্যাবন্দনা করিতেন। এই সন্ধ্যা বৈদিক সন্ধ্যা । কলিকলুষনাশের জন্য দেবাদিদেব কর্তৃক তন্ত্র ও তান্ত্রিক সন্ধ্যাবিধি প্রবর্তিত হইয়াছে। সুতরাং কলিযুগ আরব্ধ হইবার বহুকাল পূর্বে রামভামিনী সীতাদেবী ও অন্যান্য বববর্ণিনীগণ তান্ত্রিক সন্ধ্যাবন্দনা করিতেন, এরূপ মনে করিবার কোনও কারণই নাই। সে সময়ে দ্বিজাতীয় রমণীগণ পুরুষের ন্যায় বৈদিক সন্ধ্যাবিন্দনা করিতেন তাহাতে আর সন্দেহ নাই । ইহাতে বিস্মিত হইবার কারণ নাই। প্রাচীন কালে দ্বিজাতিসদ্ভুত যোষিদুগণ বেদোক্ত ব্রহ্মবিদ্যার আলোচনা করিতেন তাহার যথেষ্ট প্রমাণ বর্তমান । গাৰ্গী ও মৈত্রেয়ীর কথোপকথনে তাহা বিবৃত হইয়াছে। অবশ্য তখন সকল ব্রাহ্মণীই ব্রহ্মিঠা ছিলেন না ; ভগবান যাজ্ঞবল্ক্য দেবের প্রথম মহিষী কাত্যয়ণীর ন্যায় অধিকাংশ রমণীই গৃহকর্ম্ম ও যাগযজ্ঞ পশুবলি প্রভৃতি কার্য্যে পতির সাহায্য ও সেবা করিতেন ইহা সত্য । কিন্তু অনেক ব্রাহ্মণ ও ব্রহ্মষ্ট ছিলেন না। বৈদেহ জনকের যজ্ঞ-সভায় যাজ্ঞবল্ক্য কর্তৃক তাহা সপ্রমাণ হইয়াছে। ঐ সময়ে ধর্ম্মসম্পর্কিত ব্যাপারে স্ত্রীপুরুষের অধিকারভেদ ছিল न। ; -श्। श्लेछे दूब यांश পক্ষান্তরে মহাভারতের সময় রমণীর “সন্ধ্যা” করিতেন। এরূপ প্রমাণ কুত্রাপি দৃষ্ট হয় না। ঐ সময় দেবতা।নির্বিশেষে পতিকে সেবাধর্ম্মই কেবল স্ত্রীজাতির প্রতি বিহিত হইয়াছে, উহা বন পর্বে ব্রাহ্মণ কৌশিক ও সাধবীন্দ্রী সংবাদেই প্রকাশ । এখন দেখা গেল, বৃহদারণ্যক উপনিষদাঁদিতে যে সময়ের কথা বর্ণিত্ত আছে, সে সময়ে রমণীগণ পতির সহধর্ম্মিণী ও সহকার্ম্মিণী ছিলেন, তঁাহারা পতিসেবার সঙ্গে সঙ্গে পতির হইয়া যজ্ঞীয় পশুবলি প্রভূত কার্য্য করিতেন ও যজ্ঞাদি কার্য্যে পতির সাহায্য করিতেন। রামায়ণ রচনার সময়ও ঠিক ঐ রূপ ব্যবস্থা ছিল। ঐ সময়ে দ্বিজাতীয়া নারীরা সন্ধ্যোপাসনা, ভর্ত্তার সহিত অধ্যাত্মতত্বের অনুশীলন এবং বেদাদি অধ্যয়ন করিতেন। মহাভারতের সময় পত্নী ত দুরের কথা, স্বয়ং কর্ম্মকর্ত্তাই যজীয় পশু নিহত করিতেন না । দ্বিজগণই iBD DDS DD DBS DBBBBDBS SDDB DLLD DBD DDDBDDDBB