পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রশ্নটি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে উচ্চারণ করার প্রতিযোগিতা। একটা লাগসই জবাব মা দিয়ে শুভর রেহাই নেই। সত্যই তো, সুখের স্বৰ্গ বিলেত, সেখানে গিয়ে হৃষ্টপুষ্ট হাসিখুশি হয়ে আসার বদলে রোগ হয়ে স্নান বিমর্ষমুখে শুভ দেশের মাটিতে পা দেয় কোন যুক্তিতে? * , སུ་ཅ আচমকা চটে যায়, সেটাও আরেক ভাবে প্রমাণ দেয় যে বিদেশে " و ছেলেটা স্বাস্থ্য একেবারে নষ্ট করে এসেছে। শুধু দেহের নয়, হয়তো বা মনেরও স্বাস্থ্য ! “কি সর্বনাশের কথা ! শুভ চেচিয়ে বলে, বলছি আমার কিছু হয়নি, তোমরা এমন কিচিরমিচির কয়ছ। কেন ? তোমরা গায়ের জোরে আমাকে রোগী বানাবে নাকি ? সকলে স্তব্ধ হয়ে যায় । এতদিন পরে ফিরে এসেছে, সকলে স্নেহ জানাবে শারীরিক-মানসিক কুশলী সম্পর্কে নানারকম উদ্বেগ প্রকাশের মারফত-খুশি হওয়ার বদলে এ দেখছি রেগে যায়! জগদীশ ভয় - উদ্বেগ ও ভৎসনা - মেশানো দৃষ্টিতে ছেলের দিকে চেয়ে থাকে । শুভ চেচিয়ে বলে, আমি ঠিক আছি, আমার কিছু হয়নি মনটা শুধু একটু খারাপ হয়ে গেছে। কত কি ভেবেছিলাম, এখন বুঝতেই পারছি না কিরকম স্বাধীন দেশে এলাম। সর্বনাশ ! এতকাল পরে দেশে পা দিতে না দিতে দেশের হালচাল ভাল করে বুঝবার আগেই দেশের জন্য মন খারাপ ! দেশের অবস্থা ভাল করে। জানিবার পর তার মনের অবস্থা কি দাড়াবে ? ভূদেবের তুলনায় পাশ-না-করা ডাক্তার নন্দকে হাতুড়ে বলা যায়। কিন্তু ভূদেব শুধুই ডাক্তার, সে তাই ধরতে পারে না। শুভর এরকম অভদ্রভাবে মেজাজ বিগড়ে যাবার কারণ কি। নন্দ কিনা বন্ধু, সে বুঝতে পারে। আর মজা দেখা উচিত নয় ভেবে নন্দ সামনে এগিয়ে বলে, চায়ের ব্যবস্থা রেডি আছে শুনছিলাম ? শুভ যখন পৌছেই গেছে, দেরি করে লাভ কি ? VEN