পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গুরুতর অপরাধে শান্তি দেওয়া হয়েছিল। ঘরের চাল সারাই করতে করতে "শুভর দুবুদ্ধির জন্য পড়ে গিয়ে সে শুভকে চড় মেরে বসেছিল, একেবারে টুকটুকে ফস গালে পাঁচ আঙুলের দাগ বসিয়ে। ভুল। আর চাষী-বাগ দীরা ছাড়া সকলেই ঘটনাটা ভুলে গেছে। শুভ তাই তার সঙ্গে দু-চারটা কথা বলতে বলতে অনায়াসে জিজ্ঞাসা করে বসে, তোমার আঙলটা কাটা গেল কি করে ? আজো দুগ ঘটনায়। ভুলা ফ্যালফ্যাল করে শুভর ফর্সা মুখের দিকে চেয়ে থাকে। তার গালে আঙলের দাগ খুজিবার জন্য নয়। শুভর গালের আঙলের দাগ কবে মিলিয়ে ‘গেছে কিন্তু তার কাটা আঙলি আর জোড়া লাগল না ভেবে আপসোস করার 丐可s可河旧 হাঙ্গামা চুকিয়ে ফেরার পথে নন্দ মাঝের গায়ের কাছে নেমে যায়। বারতলা পর্যন্ত সঙ্গে গেলে সে দেখতে পেত শুভকে অভ্যর্থনা জানাবার জন্য জগদীশের বাড়ির কাছে লোক মন্দ জমে নি । এবং সকলেই তারা অনুগত অনুগ্রহপ্রার্থী নয় । আশেপাশের গ্রামের লোক ভেঙ্গে পড়লেই জগদীশ খুশী হত। তবু এত লোক যে জমেছে, শাখ বাজিয়ে শুভার গলায় মালা পরিয়ে দেবার জন্য অপেক্ষা করছে সেটা মন্দের ভালো বলতে হবে । মায়া উদ্ধৃসিত হয়ে বলে, গ্রামের লোক তো তোমায় খাতির করে খুব । ड भांशों बigg । খাতির ? মজা দেখতে ভিড় করেছে। সব লোক মিলেমিশে একাকার হয়ে ভিড়টা জমালে সে এটা ধরতেও পারত না। কিন্তু ফুলের মালাটালা নিয়ে দপ্তরের কর্মচারী, বাড়ির লোক আর গায়ের কিছু অনুগত লোক মিলে করেছে ছোট একটা ভিড়, খানিকটা তফাত বজায় রেখে অন্য লোকেরা এলোমেলো ভাবে দাড়িয়ে আছে। অভিনন্দন-পর্বের অংশীদার নয়। তারা শুধু দর্শক।

8)