পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছেলেকে মানুষ কল্পতে পারে মা, ভবিষ্যৎ মানুষ বলে ছেলেকে শ্রদ্ধাও করতে হয় । , ! কৈলাস বলে, আজকাল কিন্তু নতুন নেতা উঠছেন, মানুষ বলেই শ্রদ্ধা করতে পারছেন মুখুব গরীবদের। পুরানো নেতারাও কেউ কেউ শ্রদ্ধাটা- 'ቆ፡ নইলে যে আর নেতা হবার উপায় নেই! পিছিয়ে থাকলেও দেশের মানুষরাই তো নেতা গড়ে নেয়। আজ তাদের শুধু ভালবাসা নয় শ্রদ্ধাওয়ালা 6नऊ झिकाद्र शहझCछ । লক্ষ্মী ও কৈলাসের সমস্যায় ফিরে এসে নন্দ বলে, তোমাদের মুশকিলটা নৈতিক নয়। শাস্ত্রে নিষেধ আছে বলে, দশজনের নীতিবোধে ঘা লাগবে বলে তোমরা একসাথে থাকলে দশজনে ঘেন্না করবে-এটা স্রেফ বাজে কথা । তোমাদের মিলনটা হবে বে-আইনী, এই হল আসল মুশকিল। রাতারাতি সবার নীতিবোধ তো পাল্টায় না ? আজ একটা আইন পাশ হোক, কাল তোমরা আইনীভাবে একসাথে থাকে-কিছু গুজগাজ ফিসফাস চলবে, দু-চার জন চটবে, কিন্তু সাধারণভাবে লোকে তোমাদের অশ্রদ্ধা করবে না । সংস্কারের ভিত আলগা হয়ে গেছে সাধারণ মানুষের। জোর করে পুরানো পচা ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখা হয়েছে তাই। ব্যৰস্থা পালটে দিলেই যে কত সংস্কার শুকিয়ে যাবে! চাষীরা জমির মালিক হোক, কত প্রথা কত বিশ্বাস নিজে থেকে খারিজ হয়ে যাবে। ভাত-কাপড়ের সমস্যা-টমস্যাগুলি মেটার আগে তোমাদের সমস্যা মেটার ভরসা নেই ভাই। মানুষের স্বাধীনতা নেই, প্রেমের কি স্বাধীনতা থাকে ? কৈলাস সায় দিয়ে বলে, আমিও তাই ভাবছিলাম। ওকে কিভাবে বুঝিয়ে বলব ঠাহর পাচ্ছিলাম না। অত তলিয়ে তো বুঝিনি ব্যাপারটা ! মিথ্যে উপায় খুজছিলাম। কৈলাস ভাবে, লক্ষ্মী শুনলে থ বনে যাবে। চটেও যাবে নিশ্চয়। কৈলাস ধৈর্যহীন ভেবেছে তাকে ! কৈলাসের অস্থিরতায় উতলা হয়ে তবেই না সে SGQQ