পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (দ্বিতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/৩১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রায়ণ, ১৩৯৮। ২ : শ্রীক্ষেত্রে । , , २४°4*** প্রতীয়মান হয়, তাহা সহজেই অনুমেয়। উৎকলের সমস্ত তীর্থের মধ্যে আবার তীর্থরাজ পুরুষোত্তমই বহু প্রাচীন কাল হইতে সমগ্র ভারতবাসী হিন্দুর ভক্তিপূর্ণ অনুরাগ আকর্ষণ করিয়া আসিতেছে। বৈদিক উক্তি ছাড়িয়া দিয়া (১) মহাভারতের লবণ সাগর গর্ভ হইতে “পুনরুন্নিাহ্য সলিলা দ্বেন্দী রূপা স্থিত বভৌ’(২ ) উল্লেখে যদি শ্রীক্ষেত্রের রত্ন বেদী অনুমান করা যায়, তবে বলিতে হইবে অতি প্রাচীন কাল অবধি পুরী দেবেশ বিষ্ণুর অধিষ্ঠানক্ষেত্র। প্রধান প্রধান পুরাণ গ্রন্থে পুরুষোত্তনের মাহাত্মা কীর্ত্তিত আছে (৩ ) পরবত্তী তন্ত্র গ্রন্থেও এইট মাহাত্মা সৰ্পদংবাদি সন্মতিক্রমে স্বীকৃত। কলিঙ্গদেশ মহারাজ অশোকের রাজ্যভূক্ত হইবার পর উৎকলে বৌদ্ধ প্রভাব বদ্ধমূল হয়। বৌদ্ধেরও এই পুরুষোত্তমকে কেন্দ্র করিয়া উড়িষ্যায় সদ্ধর্ম্মের জয়পতাকা উডউীন করিয়াছিলেন । খণ্ডগিরি প্রভৃতিতে জৈন ধর্ম্মের প্রাদুর্ভাবের দৃষ্টান্ত ও বিরল নহে। তবেই অন্ততঃ সাৰ্দ্ধ দ্বিসহস্ৰ বৎসর ধরিয়া শ্রীক্ষেত্র হিন্দুর ধর্ম্ম-ক্ষেত্র স্বরূপে বিদ্যমান । রহিয়াছে, ইহা সাহস করিয়া বলা যায়। শ্রীমৎ শঙ্করাচার্য্য হইতে আরম্ভ করিয়া শ্রীচৈতন্য প্রভৃতি মহাত্মগণ এ ক্ষেত্রে শুভাগমন করিয়া ইহাকে পুণ্যতার করিয়া তুলিয়াছেন। এ হেন তীর্থে রথ দেখিবার জন্য লোকের অত্যাধিক । আগ্রহ আশ্চর্য্যের বিষয় নহে । apgabs w-- --- (১) স্মার্ত্ত শিরোমণি রঘুনন্দন। অথর্ব্ব বেদ হইতে উদ্ধত করিয়াছেন। ; আদৌযদারু প্লাবতে সিন্ধামধ্যে অপুরুখম্।। তদাবলম্ব দুদুনি তেন যাহি পরং স্থলম ৷ শান্মায়ন ব্রাহ্মণেও এই বচন আছে। কিন্তু বর্ত্তমান মুদ্রিত অথর্ব বেদে ইহা না পাইয়া কেহ কেহ ইহার আধুনিকত্ব প্রতিপাদনে প্রয়াসী। শাশ্বায়নের ভাষ্যকার “অপুরুষ্ক দারুময় পুরুষোত্তমের আরাধনা করিলে লোকে ‘পরং স্থলং বিষ্ণুলোক যায়” এই ব্যাখাই দিয়াছেন, এবং পণ্ডিতপ্রবর রঘুনন্দনের উক্তি প্রামাণিক । (২) বন পৰ্ব-১৪৭, “সান্নিধাং কুরু দেবেশ সাগরে লবণাস্তসি" ইত্যাদি উক্তি শ্রীক্ষেত্র । লক্ষ্য করিয়াই বলা হইয়াছে স্পষ্ট মনে হয়। তবে এ কালে ‘বৌদ্ধ প্রভাবের পূর্বে হিন্দুর প্রায় কিছুই ছিল না।” এই মত বড়ই প্রবল ; যে কিছু প্রাচীনত্বের প্রমাণ বাহির श्न-डांशाएँ প্রক্ষিপ্তের মধ্যে পড়িম্ভেছে ৰুলিয়াই-আয়ের কথা। . (৩) ব্রহ্ম পুরাণ, পদ্ম পুরাণ, নারদ পুরাণ, এবং স্কন্দ পুরাণের উৎকল খণ্ডে জগন্নাথ মুক্তি । স্থাপনের বিবরণ এবং পুরুষোত্তম-মাহাত্ম্য কীর্ত্তিত হইয়াছে। পুরাণগুলির বয়স এখনও নিশ্চিতরূপে নির্ণীত হয় নাই। অন্যান্য পুরাণেও cक्य-भाशंम्रा বর্ণিত আছে। কপিল সংহিতা ও নীলাদ্রি মহোদয় উড়িষ্যায় লিখিত। এতভিন্ন বিষ্ণু ধামল, রুদ্র ধামাল, ব্যবহাচ পরিশিষ্ঠ ও চতুর্কীর্ণ 'চিন্তামণি প্রভৃতি আদি গ্রন্থেও ক্ষেত্রমাহাত্ম সবিশেষ আলোচিত হইয়াছে।