পাতা:বৈকুন্ঠের উইল - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

MONS বৈকুণ্ঠের উইল আমন “মা” “মা” করে গলে গেলে সব দিকে মাটি হতে হবে, বলে দিচ্ছি। ! বিষয়সম্পত্তি বড় ভয়ানক জিনিস। গোকুলের বুকের ভিতরটা অভূতপূর্ব শঙ্কায় গুরু গুরু করিয়া উঠিল। সে বিবর্ণমুখে ফ্যাল ফ্যাল করিয়া শুধু চাহিয়া রহিল। তাহার স্ত্রী কহিল, আমরা মেয়েমানুষ, মেয়েমানুষের মনের ভাব যত বুঝি, তোমরা পুরুষমানুষ, তা পার না। আমার কথাটা শুনো। বলিয়া সে স্বামীর মুখের পানে ক্ষণকাল স্থিরদৃষ্টিতে চাহিয়া থাকিয়া, কতটা কাজ হইয়াছে অনুমান করিয়া লইয়া বেশ একটু জোর দিয়া বলিল, আর ঠাকুরপো ত চিরদিন এমনধারা বয়াটোপান করে বেড়ালে চলবে না । তঁাকে লেখাপড়া ত তুমি আর কম শেখাও নি। এখন যা হোক একটু চাকরিবাকুরি করে মাকে নিয়ে, বিয়ে-থাওয়া করে সংসারী হতে হবে তাকে । তিনি নিজের মাকে ত সত্যি আর বরাবর আমাদের কাছে ফেলে রাখতে পারবেন না ! তা ছাড়া, মাথাগুজে দাঁড়বার যা হােক একটু কুঁড়ের্কাড়াও ত করা চাই। তখন আমরাও, যেমন ক্ষমতা সাহায্য করুব-লোকে যেন না বলতে পারে, অমুক মজুমদার তার বৈমাত্র ভাইকে দেখলে না। বৈমাত্র ভায়ের সঙ্গে আবার সম্পর্ক কি ? যারা বলে তারা বলুক, আমরা সে কথা বলতে পারব না। সে বংশ আমাদের নয়। বলিয়া সে স্বামীকে ভাবিবার অবকাশ দিয়া অন্যত্ৰ চলিয়া গেল। গোকুল স্বপ্নাবিষ্টের মত শূন্যদৃষ্টিতে চাহিয়া সেইখানে বসিয়া কি সব যেন অদ্ভুত আশ্চৰ্য্য, স্বপ্ন দেখিতে লাগিল। সব কথা ছাপাইয়া এই একটা কথা তাহার কানের মধ্যে ক্রমাগত WS)