বিরাজ-বেী (: Sy এ মূৰ্ত্তি তাহার কাছে একেবারেই অপরিচিত। সে স্তম্ভিত হইয়া हैं।ांgाछेश द्वश्लि। কয়েক মুহূৰ্ত্ত পরেই বিরাজ আবার ঘরে ঢুকিয়া বলিল, অমন হতভম্ব হ’য়ে দাড়িয়ে রইলে কেন ? বেলা হয়েছে—যাও, স্নানাহিক করে দুটো থাও-যে কটা দিন পাওয়া যায়, সেই কটা দিনই লাভ । বলিয়া আর একবার সে স্বামীর বুকে শূল বিধিয়া দিয়া বাহির হইয়া গেল। এই ঘরের দেওয়ালে একটি রাধা-কৃষ্ণের পট ঝোলান ছিল, সেই দিকে চাহিয়া নীলাম্বর হঠাৎ কঁাদিয়া ফেলিল ; কিন্তু পাছে কেহ জানিতে পায়, এই ভয়ে তৎক্ষণাৎ চোখ মুছিয়া বাহির হইয়া গেল। আর বিরাজ ? সেদিন সমস্ত দিন ধরিয়া কেবলই তাহার চোখে যখন তখন জল আসিয়া পড়িতে লাগিল। যাহার এতটুকু কষ্ট সে সহিতে পারিত না, তঁহাকে এত বড় শক্ত কথা নিজের মুখে বলিয়া অবধি তাহার দুঃখ ও আত্মাগ্লানির সীমা ছিল না, সমস্ত দিন জল স্পর্শ করিল না, কঁাদিয়া কঁাদিয়া মিছামিছি এ-ঘর ও-ঘর করিয়া ফিরিল, তাহার পর সন্ধ্যার সময় তুলসীতলায় দীপ জালিয়া গলায় আঁচল দিয়া প্ৰণাম করিয়াই একেবারে ফুপাইয়া कैंजिश डेलि। সমস্ত বাড়ী নির্জন, নিন্তব্ধ। নীলাম্বর বাড়ী নাই, তিনি দুপুর-বেলা একটিবার মাত্ৰ পাতের কাছে বসিয়াই উঠিয়া গিয়াছিলেন, এখনও ফিরিয়া अicजन नांझे । বিরাজ কি করিবে, কোথায় যাইবে, কাহার কাছে কি বলিবে-আজ কোন দিকে চাহিয়া কোন উপায় দেখিতে না পাইয়া সে সেইখানে অন্ধকার উঠানের উপর উপুড় হইয়া পড়িয়া ফুলিয়া ফুলিয়া কঁদিতে লাগিল ; কেবলই বলিতে লাগিল, অন্তৰ্যামী ঠাকুর, একটিবার মুখ তুলে চাও ! যে লোক কোন দোষ, কোন পাপ কয়তে জানে না, তাকে আর কষ্ট দিও না ঠাকুর—আর আমি সইতে পারব না।
পাতা:বিরাজবৌ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৮
অবয়ব