পাতা:চিহ্ন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সভায় যাবার ইচ্ছা আমার ছিল না, শোভাযাত্রায় যোগ দিতে আমি চাইনি। এটা তবে কি রকম ব্যাপার হল ? হেমন্ত ভাবে। নিজের ব্যবহার বড় আশ্চৰ্য্য মনে হয় হেমন্তের নিজেবই কাছে, বিশেষতঃ নিজের মনের চাল-চলন। সভায় গিয়ে দাঁড়াবার খানিক পরেই মন যেন বিনা দ্বিধায় বিনা তর্কে কােন বিচার-বিবেচনা হিসাব-নিকাশ না করেই বাতিল করে দিল এত দিনকার কঠোর ভাবে মেনে চলা রীতিনীতি। এত দিন। ধরে যা সে যে-ভাবে ভেবেছে আজ যেন ও-ভাবে ও সব ভাববার দরকারটাই শেষ হয়ে গেছে একেবারে। একান্ত পালনীয় বলে যা সে কঠোর নিষ্ঠীর সঙ্গে পালন করে এসেছে এত দিন, আজ তার বিরুদ্ধ আচরণে প্ৰবৃত্ত হয়েছে বলে বিচলিত হবার কিছু নেই, ক্ষোভের কারণ নেই। এত সহজে কি করে মত বদলায় মানুষের, তার ? এমন আচমকা কি করে নতুন মত মেনে চলা এমন স্বাভাবিক মনে হয় মানুষের, তার ? অথবা আজকের এ ব্যাপারে মতামতের পশু নেই, প্রতিদিনকার সাধারণ জীবনে যে মতামত নিয়ম-কানুন খাড়া করে। 5ना যায়, এই বিশেষ অবস্থায় সে সব বর্জন করে চলাই কৰ্ত্তব্য হয়ে দাঁড়ায় ? ধাঁধা লেগে যায় হেমােন্তর এ. সাধ চিন্তায় । না, রাজনীতি বাজে নয়, তুচ্ছ নয় হেমন্তের কাছে । অত অন্ধকার নয় তার মন। বিশেষত এদেশের রাজনীতি স্বাধীনতার চিহ্ন : ; W