আপনার মন যেন উঠ্ছে না বলে মনে হয়, তার কারণ কি?” আমি বললাম, “দেখার মত এমন কিছু এখনও চোখে পড়েনি, যার উপর কোন মন্তব্য করা চলে। কংক্রিট, কাঁচ, লোহা, টিন―এর বেশি এখনও কিছুই দেখিনি।” তখন তিনি আমাকে ঘরের দরজার সামনেকার কয়েকখানা পাথর দেখালেন।
আমি পাথর সম্বন্ধে কিছু জান্তাম। তিনি আমাকে প্রশ্ন করলেন, “এই পাথর কখানা যদি পাইরাইটিশ হয় তবে তার ওজন কত হবে?” আমি বললাম, “পাইরাইটিশ গলান যায় কিনা তা আমি জানি না এবং যদি গলান সম্ভব হয় তবে প্রত্যেক খানার ওজন পন্চাশ হতে ষাট টন হবে।” আমার জবাব শুনে ম্যানেজিং ডাইরেক্টর বুঝলেন, আমি একমাত্র মাটির উপর ঘুরেই সন্তুষ্ট হইনি, মাটির নীচের সংবাদও কিছু রাখি। একটুকু বাজিয়ে দেখে আমাকে তাঁদের রেডিও সিটিতে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, “আপনাদের দেশে কতগুলি ভাষার সাহায্যে লোকে কথা বলে?” বুঝতে পারলাম, আমি যা বলব তাই অম্নি ব্রডকাষ্ট হবে। জবাব দিলাম, “ভারতে বর্তমানে একটি মাত্র ভাষা, যা প্রায় সকলেই বুঝে।”
“তার নাম কি?”
“হিন্দুস্থানী।”
“শুন্তে পাই ভারতে প্রায় শ’খানেক ভাষা আছে?”
“আমিও শুনেছিলাম, আমেরিকায় সবাই মিলিয়োনিয়ার।”
“তবে কি কথাটা প্রপেগেণ্ডা?”
“অনেকটা তাই।”
“আপনার জানামতে অন্য কোন ভাষা ভারতে প্রচলিত আছে কি?”
“হাঁ।”