86tr রবীন্দ্র-রচনাবলী রসিক । বিরহী চিঠি লিখতে চলল । শ্ৰীশ । অক্ষয়বাবু আছেন বেশ। রসিকবাবু, ওঁর স্ত্রীই বুঝি বড়ো বোন ? তার নাম ? রসিক । পুরবালা । বিপিন ।। (নিকটে আসিয়া) কী নাম বললেন । রসিক । পুরবালা । বিপিন । তিনিই বুঝি সব চেয়ে বড়ো ? রসিক । ইহা । বিপিন । সাব-ছোটোটির নাম ? রসিক । নীরবালা । শ্ৰীশ । আর নৃপবালা কোনটি । রসিক । তিনি নীরবালার বড়ো । শ্ৰীশ । তা হলে নৃপবালাই হলেন মেজো । বিপিন । আর নীরবালা ছোটো । শ্ৰীশ । পুরবালার ছোটাে নৃপবালা । বিপিন । তার ছোটো হচ্ছেন নীরবালা । রসিক । (স্বগত) এরা তো নাম জপ করতে শুরু করলে । আমার মুশকিল। আর তো হিম সহ্য হবে না, পালাবার উপায় করা যাক । বনমালীর প্রবেশ বনমালী। এই-যে আপনারা এখানে। আমি আপনাদের বাড়ি গিয়েছিলুম। শ্ৰীশ । এইবার আপনি এখানে থাকুন, আমরা বাড়ি যাই । বনমালী । আপনারা সর্বদাই ব্যস্ত দেখতে পাই । বিপিন । তা, আপনাকে দেখলে একটু বিশেষ ব্যস্ত হয়েই পড়ি। बनभानी | *ा5 भिन्निं यनेि ग्रैफान শ্ৰীশ । রসিকবাবু, একটু ঠাণ্ডা বোধ হচ্ছে না ? রসিক । আপনাদের এতক্ষণে বোধ হল, আমার অনেকক্ষণ থেকেই বোধ হচ্ছে । বনমালী । চলুন-না ঘরেই চলুন-না । শ্ৰীশ । মশায়, এত রাত্রে যদি আমার ঘরে ঢোকেন তা হলে কিন্তুবনমালী । যে আজ্ঞে, আপনারা কিছু ব্যস্ত আছেন দেখছি, তা হলে আর-এক সময় হবে । চতুৰ্থ অঙ্ক প্রথম দৃশ্য অক্ষয়ের বাসা রসিক ও শৈলবালা রসিক । ভাই শৈল । শৈলবালা । কী রসিকদাদা । রাসিক । একি আমার কাজ। মহাদেবের তাপােভঙ্গের জন্যে স্বয়ং কন্দৰ্পদেব ছিলেন, আর আমি বৃদ্ধ— শৈলবালা । তুমি তো বৃদ্ধ, তেমনি যুবক দুটিও তো যুগল মহাদেব নন।
