কাশ্মীর, সিকিম ভূটান G 0°व् | (፩ Sዓ গণনায় জানা গিয়াছিল যে কাশ্মীরে তখন ২২ জন এবং জম্মুতে ৪৯ জন বঙ্গীয় নরনারী বাস করিতেছিলেন। কিন্তু ইতিহাস আলোচনা করিলে দেখা যায়, ভূস্বৰ্গ কাশ্মীরে বাঙ্গালীর আবির্ভাব বড় অল্পদিন হইতে হয় নাই । কোথায় উত্তরপশ্চিম শীর্ষের হিম গিরিমালাক্ৰোড়ে অবস্থিত শীতপ্রধান কাশ্মীর আর কোথায় পূৰ্ব্বদক্ষিণ ভারতে সমুদ্রকুলশোভী গ্রীষ্মপ্ৰধান গৌড়রাজ্য। কিন্তু প্ৰাচীনকালে এই দুই সমৃদ্ধ রাজ্যের মধ্যে অতি ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ স্থাপিত হইয়াছিল। স্বনামখ্যাত কাশ্মীরী কহিলন পণ্ডিতের রাজতরঙ্গিণী হইতে জানা যায় ৭ম শতাব্দীতে প্ৰবল পরাক্রাস্ত কাশ্মীররাজ আসিয়া উপস্থিত হন এবং গৌড়ের শৌৰ্য্যবীৰ্য্য এবং ঐশ্বৰ্য্যদর্শনে ঈষান্বিত অথবা ভীত হইয়াই গৌড়রাজকে কাশ্মীরে লইয়া যান। ললিতাদিত্য গৌড়রাজকে নিরাপদে রাখিবেন বলিয়া প্ৰতিশ্রুত ছিলেন এবং তজজন্য তাহার পরমারাধ্য দেবতা “পরিহাসকেশব” নামক বিগ্রহকে সাক্ষ্য বা মধ্যস্থ মানিয়াছিলেন ; কিন্তু কাশ্মীরে লইয়া গিয়া ঘাতকের দ্বারা গুপ্তভাবে গৌড়রাজের প্রাণসংহার করেন। গৌড়রাজ ললিতাদিত্যের সহিত কাশ্মীরে একাকা কখনই আগমন করেন নাই তাহার সহিত নিশ্চয়ই কতিপয় রাজভক্ত গৌড়ীয় ও গিয়াছিলেন। সুতরাং ত্যাহার গুপ্তহত্যার ংবাদ রাজার অনুচরগণের মধ্যে কেহ অচিরেই গৌড়ে আনয়ন করেন। কাশ্মীররাজের এই বিশ্বাসঘাতকতায় রাজভক্ত গৌড়ীয়গণ ক্ষোভে দুঃখে এবং ক্ৰোধে অধীর হইয়া তাহাদের মধ্যে কয়েকজন প্ৰতিশোধগ্ৰহণমানসে কাশ্মীর গমন করেন। কিন্তু গৌড়ীয়গণ র্তাহীদের রাজহন্ত ললিতাদিত্যকে রাজধানীতে না পাইয়া ক্ৰোধে অন্ধ হইয়া রাজার প্ৰিয়তম বিগ্ৰহ পরিহাস কেশবের মন্দির ও মুক্তি । ংশ করিতে অগ্রসর হন। তখন মন্দিরের পুরোহিতগণ বিষ্ণুমন্দিরের দ্বার বন্ধ ፡ነ~ጎ ፡ T করিয়া দেন। কিন্তু গৌড়ীয়গণ মন্দির ভগ্ন করিয়া ভিতরে প্রবেশ করেন এবং রত্নময় রামস্বামীর মূৰ্ত্তিকে পরিহাসকেশব মনে করিয়া তাহা চূৰ্ণ করতঃ চতুর্দিকে । নিক্ষেপ করিতে থাকেন। এমন সময় শ্ৰীনগর হইতে অসংখ্য কাশ্মীরী সৈন্য আসিয়া তাহাদিগকে আক্রমণ করে। কহিলন পণ্ডিত লিখিয়াছেন, “তখন সেই মুষ্টিমেয় গৌড়ীয়গণের রাজভক্তি, অধ্যবসায় বীরত্ব ও সাহসের কথা আর কি বলিব, তাহারা একে একে যুদ্ধ করিতে করিতে পতিত হইল বটে। কিন্তু রামস্বামী বিগ্রহের চিহ্নমাত্র রাখিল না। তাঁহাদের রক্তে কাশ্মীরভূমি রঞ্জিত করিয়া গৌড়ীয়গণের