बखंड রূপের মোহেই বেশী মুগ্ধ হইতে শিখিয়া রীতিমত দাবী করিতে শিখিয়াছে কৃত্রিম রূপ। কি আসিয়া যায় চোখে একটু কাজল দিলে ? প্রথম প্রথম রাণীও তাই ভাবিত, এটা যে একটা খুব বড় অপরাধ এ DBD SDBB SDS DS SDBDBBBB DBDS DB D DDK DDB BBB নজের কাছেই বড় হইয় , উঠিয়াছে, নিজে নিজেই সে বিশ্বাস করিয়া ফেলিয়াছে, চোখে কাজল দিয়া সর্বদা সে সকলকে ঠকায় । একবার যে টের পাইবে, সেই তাকে ছিছি করিবে: এ ভয় চরমে উঠিয়াছে, কাজল দেওয়া চোখ দেখিয়া বিকাশের মুগ্ধ হওয়ার পর মাঝে মাঝে বিকাশ যেন সত্যই অবাক হইয়া তার চোখের দিকে চাহিয়া থাকে, কি যেন খুজিয়া পায় আর কি যেন খুজিয়া পাইতে চায়। রাণী হয়ত তখন কথা বলিতেছে, কি বলিতেছে ভুলিয়া যাওয়ার চেয়ে কঠিন সমস্ত হইয়া দাড়ায় চোখ মুদিয়া ফেলিবার প্রায় অদম্য একটা প্রেরণা দমন করা। বিকাশ। কিন্তু হঠাৎ খুলী হইয় ওঠে, যা খুজিতেছিল যেন খুজিয়া পাইয়াছে। বলে, ‘সত্যি, মানুষ আর সব পারে, চোখের সঙ্গে মনের যোগটা কেবল ঘুচিয়ে দিতে পারে না।” শুনিয়া পাংশু মুখে রাণী একটু হাসে। বিকাশ তার চোখের ফাকি ধরিয়া ফেলিয়াছে এই ভয়ে তার মুখ শুকাইয়া যায় না, ভয় তার হয়। ভবিষ্যতের। এখন আর বিকাশ কিছু টের পাইবে না, পাইলে অনেক আগেই পাইত, অনেকবার সে তার চোখ দুটিকে একাগ্র দৃষ্টিতে চাহিয়া দেখিয়াছে। অনেকদিনের অভিজ্ঞতায় রাণী এটুকু জানিয়াছে, প্রথম দু একবার তার চোখের দিকে চাহিয়া যদি বিকাশ না বুঝিতে পারে চােখে সে কাজল দিয়াছে, সেদিন আর তার ধরা পড়িবার ভয় নাই। ধরা সে পড়িবে সেইদিন, যেদিন ঠিকমত Vy(?
পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৩
অবয়ব