পাতা:সার্বজনীন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাৰ্বজনীন 88. ছুটির দিন দুপুর বেলা পাতলা একটা শাড়ীতে আলুঞ্চালু বেশ করে। সে গিয়ে হাজির হয়েছিল পরমেশ্বরের ঘরে। বলেছিল, কি করছেন ? একটু গল্পটল্প করতে এলাম। সে ভেবেছিল, পরমেশ্বর নিশ্চয় তাকে দেখে নিজেকে সামলাতে পারবে না । নভেল পড়ে পড়ে আর সিনেমা দেখে দেখে তার ধারণা হয়েছিল নিজের বাপ ভাই ছাড়া এ জগতে কোন বয়সের এমন পুরুষ থাকা অসম্ভব, নির্জন দুপুরে তাকে এভাবে যেচে ঘরে আসতে দেখে যার পক্ষে আত্ম সম্বরণ করা সম্ভব । পরমেশ্বর বলেছিল, এসে মা এসো ! আমার মা জননী এসে । আজকে বুঝি মার মনে পড়ল ছেলে একলাটি আছে, তার সাথে দুটাে কথাবাৰ্ত্ত বলে আসতে হবে ? এমন জব্দ পদ্মা আর হয় নি। সেই থেকে তার নভেল সিনামার বঁাকা শিক্ষায় একচেটিয়া প্ৰভাবে, এসেছিল একটু বিচার বিবেচনা করে চলার সুবুদ্ধি ! মহেশ্বরের পরিবার শুধু নয়, গণেশরা পৰ্যন্ত এসে একটা ঘর দখল করে বসায় মনে হল এতদিনে বুঝি একাকীত্বের অবসান হয়েছে পরমেশ্বরের, তার জীবন ভরে উঠেছে আত্মীয়তাকে স্বীকৃতি দানে। আপনজনের দায়িত্ব গ্রহণে | সমীর বলে, আপনি তবে আপন পর হিসাব করেন ? পরমেশ্বর হেসে বলে, করি বৈকি। চিরদিন করে এসেছি। ৪ কি রকম ? ৯ রকম তুমি বুঝবে না। সর্ব ঘটে সমান জ্ঞান তুমি কবে আমার দেখিলে, যে অ্যাপন পর ভেদ করি দেখে আশ্চৰ্য্য হচ্ছে ? এ আমার আপনি,