পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/২২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R R R মানিক গ্ৰন্থাবলী খানিক আগে ঘরটা যেমন অপরিচিত ঠেকিয়াছিল, কুন্তলাকে এখন ক্রিষ্টীপের তেমনি অপরিচিত অজানা অচেনা মনে হইতে লাগিল। কুন্তলা যে কোনদিন তার কাছে এত সহজে বিনা চেষ্টায় এমন একটা ধাঁধা হইয়া উঠিতে পারে, ক্রিষ্টপ কোনদিন কল্পনাও করিতে পারে নাই । “আমার সঙ্গে বিয়ে হলে তুমি খুন্সী হবে ? ‘छन् िन] ?? “তুমি তবে রাজী নাও ?? ‘আমি রাজীও নই, অরাজীও নই। কেন এসব জিজ্ঞেস করছেন আমাকে ? যা বলবার দাদাকে বলুন।” এ জবাবের পর আর কোন কথা চলে না। আর কিছু বলার সুযোগও কুন্তল৷ তাকে দিল না, ধীরে ধীরে বাহির হইয়া গেল। ক্রিষ্টপ চুপ করিয়া বসিয়া আকাশ পাতাল ভাবিতে লাগিল। কি জানা গেল এতক্ষণ জেরা করিয়া ? কিছুই নয় ? তার সম্বন্ধে কুন্তলার অনুরাগ বা বিরাগ নাই, অন্ততঃ আছে কি নাই, কুন্তলা নিজে সে হিসাব রাখে না, এটা অবশ্য জানা গিয়াছে। কিন্তু ও জানা জানাই নয়। একটা অস্পষ্ট অনুভূতি ক্রিষ্টপকে পীড়া দিতে লাগিল, সে যেন কি একটা ছেলেমানুষী করিয়াছে’-কুন্তলার কাছে করিয়াছে ! তার নিজের স্বপ্নকে বাস্তব প্ৰমাণ করার জন্য শিশুর সঙ্গে তর্ক করার মত ছেলেমানুষী । মণীশ আসিলে সে বঁাঝালো গলায় বলিল, “মনিদা, এমনি করে আপনি বোনদের মানুষ করেছেন ? “কেমন করে ক্রিস্টুপ ? ‘চারিদিক থেকে মনের আঁটাঘাট বেঁধে রেখে ? আপনি বলে দিলে তবে কুন্তলা বুঝতে পারে ওর কি ভাল লাগে, কি ভাল লাগে না ? মণীশ মৃদু হাসিল। —“তুমি ভুল করছি তিষ্ট। ব্যাপারটা ঠিক বুঝতে পারছি না । কুন্তলার মন স্বাধীন ভাবেই গড়ে উঠেছে। আমি শুধু ওর মনে রোমান্স সৃষ্টি হতে দিই নি । ওকে নিয়ে তোমার মনে যে প্ৰতিক্রিয়া চলছে, ও তা ধারণাও করতে পারবে না ।” द्देिश्न ऐठेिशा। मैंफुांझेल । “মনিদ । আমি কুন্তলাকে বিয়ে করব।” বলিয়া মণীশকে কথা বলিবার সুযোগ না দিয়া সে বাহির হইয়া গেল। খ্রিষ্টীপের মনে হইল, আবার তার চিন্তাজগতে একটা ওলোট পালোট ঘটিবার