S8w সংসার। নামে আজি যে কলঙ্ক রটল, সমাজে তাহাদিগকে ঘুণা করিবে, তিরস্কার করিবে, অঙ্গুলি দিয়া তাহাদিগের দিকে দেখাইয়া দিবে, শরৎ সেটি কি সহ্য করিতে পরিবেন ? লোকে এখন বলিবে, ঐ দুইজুনে একটা নষ্টা বিধবাকে শরতের সঙ্গে বিবাহ দিতে চাহিয়াছিল, শরৎ বুঝিয়া সুঝিয়া সে বিবাহ করিলেন না, ব্যভিচারিণীটা হেমবাবুর ঘরেই আছে, এ হৃদয়-বিদারক কথা কি শরৎ সহ করিতে পারিবেন ? যে বিন্দু বাল্যকালাবধি শরতের স্নেহময়ী ভগিনীর ন্যায়, তাহার প্রতি শরৎ এইরূপ আচরণ করিবেন ? যে হেমবাবু স্বীয় ঔদাৰ্য্যগুণে শরৎকে ভ্রাতার ন্যায় ভালবাসিতেন, লোকনিন্দা তুচ্ছ করিয়া, আজি কেবল শরৎ ও সুধার সুখের দিকে লক্ষ্য করিয়া শরতের বিষম প্ৰস্তাবেও সন্মত হইয়াছিলেন, তাহাকে কি শরৎ জগতের তিরস্কার ও ঘূণার পদার্থ করিবেন ? যে স্নেহপূর্ণ নিষ্কলঙ্ক পরিবারে প্রবেশ করিয়া শরৎ এতদিন শান্তি লাভ করিয়াছিলেন, আজি কি কুটিলগতি বিষধর সৰ্পের ন্যায় তাহাদিগকে দংশন করিয়া চলিয়া আসিবেন ? কাল বিষে সে পরিবার জর্জরিত হউক, ধ্বংস প্ৰাপ্ত হউক, অনপনেয় কলঙ্ক সাগরে নিমুগ্ধ হউক, শরৎ নিঃসঙ্কুচিত চিত্তে তাহাদিগকে ত্যাগ করিয়া আসিলেন!। এ চিন্তা শরতের অসহ্য হইল, অসহ্য বেদনায় চীৎকার করিয়া উঠিলেন “মাতা, ক্ষমা কর, আমি এ কাঘটী পারিব না ।” আর সেই ধৰ্ম্ম-পরায়ণা, পবিত্ৰ-হৃদয়া হতভাগিনী সুধা ? ছয় মাস পূর্বে সে বালিকা ছিল, প্ৰণয়ের কথা জানিত না, বিবাহের কথা, মনে উদয় হয় নাই। - এই ছয় মাসের মধ্যে