শ্রেণীভুক্ত মৎস্যবিশেষ। কথিত আছে ইহার গাত্রে সেণ্টপিটারের অঙ্গুলির দাগ আছে।”
এমন সময় দেখি কতকগুলি লম্বা ছুঁচালমুখ মৎস্য ধীরে ধীরে আমাদের দিকে আসিতেছে। মুখ লম্বায় তিন, চারি ফিট্ কিন্তু দেহটা দশ বার ফিট্ বোধ হইল। বন্ধুবর চিৎকার করিয়া উঠিলেন:—
“সাবধান, সাবধান। সোর্ডফিসের ঝাঁক আসিয়াছে।” এই বলিয়া তিনি বেগে মোটাররুমে গেলেন।
আমি বড়ই চিন্তিত হইয়া পড়িলাম এবং তাঁহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ গেলাম। কিয়ৎক্ষণ পরে তিনি দীর্ঘ নিশ্বাস ত্যাগ করিয়া বলিলেন:—
“আঃ, বাঁচা গেল।”
আমি চিন্তিতভাবে প্রশ্ন করিলামঃ—
“ব্যাপার কি?”
“একটা ফাঁড়া গেল। যে মৎস্যগুলি দেখিয়াছিলে উহাদের নাম সোর্ডফিস্। ইহারা অতি ভয়ঙ্কর মৎস্য। ঐ লম্বা মুখ দ্বারা উহারা অনেক জাহাজের তলদেশ বিদীর্ণ করিয়াছে। লণ্ডনের British Museum ও অন্যান্যস্থানে উহাদের কর্ত্তৃক ভগ্ন অনেক জাহাজের hull দেখিতে পাইবে। উহাদের ঐ সোর্ডের ক্ষমতা এত যে উহা তাম্রাবরণ এমন কি নয় ইঞ্চি মোটা কাষ্ঠখণ্ড, বিদীর্ণ করিতে পারে। অনেকে সমুদ্রে স্নান করিতে গিয়া ঐ মৎস্যের হস্তে প্রাণ দিয়াছে। এইরূপ প্রবাদ যে, উহারা তিমি মৎস্যের চিরশত্রু। জাহাজাদিকে তিমি মৎস্য মনে করিয়া উহারা তাহাদিগকে নষ্ট করিয়া ফেলে।”
“তাইত। তাহা হইলে বাস্তবিকই মস্ত ফাঁড়া গিয়াছে। এখন কি করিলে?”
“আমি বোট্খানি আরো নামাইয়া দিয়াছি এবং তড়িতের সাহায্যে উহাদিগকে মারিয়া ফেলিয়াছি। দেখিবে?”