পাতা:সার্বজনীন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

9 eܓ খানিক পরে সাধন বাজার নিয়ে বাড়ী ফেরে । বাসের দু’আনা পয়সা বঁাচাতে সে প্ৰায় আধমাইল রাস্তা বাজার করে হেঁটে বাড়ী ফেরে । পদ্মাকে দেখে আশ্চৰ্য্য হয়ে বলে, হঠাৎ কোখেকে এলেন ? বিয়ে টিয়ে হয়ে গেছে দেখছি! বলতে বলতে তার চোখ পড়ে একই মাদুরে বসা কান্তিলালের দিকে। তার হা করে তাকিয়ে থাকার রকম দেখে কান্তিলালের মুখে হাসি ফোটে, পদ্মাও হেসে ফেলে। সুরমা বলে, ওর সঙ্গেই বিয়ে হয়েছে। ঃ তাই নাকি ! বেশ বেশ । পদ্মার ড্রাইভার স্বামীকে সাধন কি ভাবে নেবে ভেবে একটা খটকা ছিল সুরমার মনে কিন্তু দেখা যায়। সাধনও আর সে সাধন নেই। সহজভাবে অনায়াসে সে কান্তিলালকে বলে, বমন, মুখ হাত ধুয়ে এসে। আলাপ করব। এত নোংরা বাজার, হাতে পায়ে সাবান না দিলে গা ঘিন। ঘিন করে ।

যা বলেছেন । পদ্মা নিশ্বাস ফেলে বলে, দাদার জন্য না হলে আজকে এসে আমার

कठ उॉल कांड ! পরমেশ্বর বলে, একটা মানুষ কত মানুষের আনন্দ নষ্ট করতে পারে । নিজেকে ঠিক রেখে চলার দায়িত্ব তো এইজন্যই মানুষের । পরদিন বিকালের ডাকে একখানা পোষ্টকার্ড আসে সমীরের। পেন্সিলের অস্পষ্ট আঁকাবঁকা লেখা, কিন্তু চেষ্টা করে পড়া যায়। সমীর শিয়ালদ’ ষ্টেশনে পড়ে আছে।