আমাদের পৃথিবীতে যত আগ্নেয় পর্ব্বত আছে, তাহাদের সঙ্গে চাঁদের পর্ব্বতগুলির আকার মিলাইয়া দেখিলে দুয়ের মধ্যে অনেক তফাৎ দেখিতে পাওয়া যায়। আমাদের কোনো আগ্নেয় পর্ব্বত দুই তিন মাইল উঁচু পাহাড়ে ঘেরা নাই এবং তাহাদের কোনোটিরই মুখ পঞ্চাশ মাইল বা একশত মাইল চওড়া নয়। চাঁদের আগ্নেয় পর্ব্বতগুলির অবস্থা এ-রকম কেন হইয়াছে, তোমর কেহ বলিতে পার কি? বোধ হয় পারিবে না; জ্যোতিষীরা অনেক ভাবিয়া চিন্তিয়া ইহার কারণ স্থির করিয়াছেন।
ইহা বুঝিতে হইলে পৃথিবী ও চাঁদের আকর্ষণের কথা একটু জানা আবশ্যক। পৃথিবী তাহার উপরকার সকল জিনিসকে চাঁদের দিকে টানে, এজন্য আমরা জিনিসকে ভারি বলিয়া বোধ করি। পাঁচ সের ওজনের একটা লোহার গোলাকে মাটি হইতে উঠাইতে কত কষ্ট হয় দেখিয়াছ ত? গোলাকে পৃথিবী নীচের দিকে টানে তুমি তাহাকে উপর দিকে টানো, কাজেই পৃথিবীর টানের চেয়ে তোমার টান, অধিক না করিলে গোলাকে মাটি হইতে উঠাইতে পারিবে না। এজন্য কোনো জিনিসকে মাটি হইতে উঠাইতে গেলে বেশ্ জোর লাগে।
চাঁদের দেহটা পৃথিবীর তুলনায় খুব ছোট, এজন্য সে তাহার উপরকার জিনিসগুলাকে পৃথিবীর মত জোরে টানিতে পারে না, এজন্য চাঁদে সব জিনিসই হাল্কা। হিসাব করিয়া দেখা গিয়াছে, পৃথিবীতে যে জিনিসটার ওজন ছয় সের, চাঁদে তাহার ওজন মোটে এক সের। তুমি কত ভারি জিনিস মাটি হইতে উঠাইতে পার জানি না। বোধ হয় দশ সের জিনিস বেশ সহজে তুলিতে পার। তাহা হইলে চাঁদে তুমি ষাট্ সের অর্থাৎ দেড় মণ জিনিস অতি সহজে উঠাইতে পারিবে। তুমি কতটা লাফ্ দিতে পার? হয় ত ছয় সাত হাতের বেশি পার না। তুমি চাঁদে গিয়া যদি লাফ্ দিতে আরম্ভ কর, তাহা