পাতা:অমর প্রেম - মানিক ভট্টাচার্য.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমর প্রেম আগুতােষ। তাহলে সব ঠিক হয়ে যাবে। মনের প্রবল ইচ্ছাই হচ্ছে সব চেয়ে বড় জিনিষ। কাজে থাকলে কাজের পদ্ধতি জানতে দেরী হবে না। লতিকা। আমাকে আপনি নিজের মেয়ের মত একটু স্নেহের চক্ষে দেখবেন এই আমার প্রার্থনা। আগুতােষ। তােমাকে আমি মেয়ের মতই দেখব মা; কাজেই একটু স্নেহের চক্ষে দেখুলে তাে চলবে না। একটু বেশী যতখানি এই অক্ষম বৃদ্ধের পক্ষে সম্ভব হয়, ততখানি স্নেহের চক্ষেই দেখব। তুমি তাে জাননা মা কেন ভগবান আমার মত লােকের মাথায় এই নারী প্রতিষ্ঠানের চিন্তা দিলেন। | সন্ধ্যা হয়ে এল। তুমি একটু বসবে চল মা। বৃদ্ধ শিক্ষক বলিলেন, আমার অন্যত্র একটু কাজ আছে এখন। আমি এখন যাই। আবার ঘণ্টাদেড়েক পরে এসে নিয়ে যাব। আশুবাবু বলিলেন, তা যদি সুবিধা হয় আসবেন। না হয় আমি নিজেই মাকে পৌছে দেব। পণ্ডিত মহাশয় বিদায় লইলেন। আশুবাবু উঠিয়া সম্মুখস্থ পুষ্পপাত্র আনিলেন ও অতিযত্নে মমতার সহিত স্নেহবর্ধিত ফুল গাছগুলি হইতে কতকগুলি ফুল তুলিয়া লতিকার সহিত একটি কক্ষে আসিলেন। কমধ্যে দেওয়ালে কয়েকখানি তৈলচিত্র ছিল। সর্বোপরি জগদ্ধাত্রী মূর্তি-মায়ের স্নেহ যেন মায়ের সদাপ্রফুল্ল মুখ হইতে শত ধারে ঝরিয়া সমগ্র জগৎকে শান্ত তৃপ্ত করিতেছে। জগদ্ধাত্রী মূর্তির নীচে দক্ষিণে প্রসন্নান সৌম্যমূর্তি, তীক্ষ্ণ বুদ্ধিব্যঞ্জক দীপ্তোজ্জল চক্ষু পুরুষমূর্তি। নীচে লেখা-পিতৃদেব। বামে অন্নপূর্ণার মত এক নারীমূর্তি। বকে মুখে