কর্ম্মফল। ১১ সতীশ। ওগুলো আজকের মত বার করে দিতে হবে। বিশেষতঃ তোমার এই বঁটি চুপড়ি বারকোশগুলো কোথাও না লুকিয়ে রাখলে চলবে না।
জেঠাই মা। কেন বাবা, ওগুলোতে এত লজ্জা কিসের তাদের বাড়ীতে কি কুটনা কুটবার নিয়ম নাই।
সতীশ। তা জানিনে জেঠাই না, কিন্তু চা খাবার ঘরে ওগুলো রাখা দস্তুর নয়। এ দেখলে নরেন ভাইড়ি নিশ্চয় হাসবে, বাড়ী গিয়ে তার বোনদের কাছে গল্প করবে।
জেঠাই মা। শোন একবার ছেলের কথা শোন! বঁটি চুপাড় ত চিরকাল ঘরেই থাকে! তা নিয়ে গল্প করতে ত শুনিনি!
সতীশ। তোমাকে আর এক কাজ করতে হবে জেঠাই মাআমাদের নন্দকে তুমি যেমন করে পার এখানে ঠেকিয়ে রেখো। সে আমার কথা শুনবে না, খালি গায়ে ফস্ করে সেখানে গিয়ে উপস্থিত হবে।
জেঠাই মা। তাকে যেন ঠেকালেম কিন্তু তোমার বাবা যখন থালি গায়ে —
সতীশ। সে আমি আগেই মাসীমংকে গিয়ে ধরেছিলেন তিনি বাবাকে আজ পিঠে খাবার নিমন্ত্রণ করেছেন, বাব। এ সমস্ত কিছুই জানেন না!
জেঠাই মা। বাবা সতীশ, যা মন হয় করিস্ কিন্তু আমার ঘরটাতে তোদের ঐ খানাটানাগুলো সতীশ। সে ভাল করে সাফ করিয়ে দেব এখন।