রামচন্দ্র রায় গাইছেন;
‘‘তারা-নামামৃত সদা কর পান, হবে প্রাণ সুশীতল,
পাবে দিব্যজ্ঞান।”
মাতৃভক্তিতে কেউ বা এমনি বিভোর যে, বেণীদাস শ্যামাপূজায় বসে তাঁকেই অনুনয় করে সম্বোধন জানাচ্ছেন;—
“হৃদয়-মন্দিরে দাড়াও শ্যামা রূপে শ্যাম-শশি!
পূজিব অভয়চরণে দিয়ে ভক্তি-জবা রাশি।”
তারপর এলেন মায়ের এক ভক্ত ছেলে,—সংক্ষিপ্ত নাম তাঁর ‘রামদত্ত’। শক্তির পশরা দিলেন খুলে, ভক্তির সঙ্গে ভাষার তুফান উন্মত্ত বেগে ছুটে বয়ে গেল! গাইলেন;—
“বারে বারে যে দুঃখ দিয়েছ দিতেছ তারা!
সে কেবলই দয়া তব জেনেছি মা দুঃখহরা।”
গাইলেন;—“শ্মশান ভালবাসিস বলে শ্মশান করেছি হৃদি।
গাইলেন;—
“তনয়ে তার তারিণি! ত্রিবিধ তাপে তারা নিশিদিন হতেছি সারা,
বার বার বৃথা আর, কাঁদায়োনা অনিবার, অধম সন্তানের দুঃখ,
নাশ মা দুঃখনাশিনি!”
অথবা—
“আর কবে দেখা দিবি মা, হররমা”—
এ সব মর্ম্মছেড়া চিত্তদোহনকরা গভীর অনুভূতিভরা আর্ত অনুযোগ অনুনয় একে মা ত’ মা, মায়ের পাষাণ বাবাও বোধ হয় তুচ্ছ করতে পারেন না! বাঙ্গালী সন্তানের এই মর্মবাণী, তার এই আত্মাভিব্যক্তি, এর তুলনা আর কোন সাহিত্যে নেই। কবিরুদ্দিন মল্লিকের “তুমি সবই দিয়েছ, তাপ পাপ রোগ