অয়ি মুগ্ধে, গুরুজনের কাছে বিরহ দুঃখ লুকোতে গিয়ে কেন তুমি বাষ্পপূর্ণ চোখের অশ্রুস্রোত রুদ্ধ ক’রছ? রাতের পর রাত চোখের জলে ভিজে যাওয়া তোমার শয্যার প্রান্তদেশ তুমি যে রৌদ্রে শুকিয়ে নাও, তাতেই তোমার দশা প্রকাশ ক’রে দিচ্চে।”
সমসাময়িক প্রতিভাশালিনী কবি মোরিকার কবিতার একটি উদাহরণ এই:
“লিখতি ন গণয়তি রেখাং নির্ঝরবাষ্পাম্বু-ধৌতগণ্ডতটা
অবধি দিবসাবসানং মা ভূদিতি শঙ্কিতা বালা॥”
(স্বামীর আগমনের বাকি দিনগুলি গ’ণবার জন্য বিরহিণী) “মেয়েটি মাটিতে দাগ কাটে কিন্তু ভয়ে গ’ণে দেখেনা, পাছে দিন ফুরোতে বেশি দেরি আছে দেখা যায়। চোখের জলের ঝরণায় তার গালের দুই কূল ভেসে যায়।”
লক্ষ্মীর কবিতার একটি উদাহরণ দিচ্ছি:
“ভ্রমন্ বনান্তে নবমঞ্জরীষু ন ষট্পদো গন্ধফলীমজিঘ্রৎ।
সা কিং ন রম্যা স চ কিং ন রন্তা বলীয়সী কেবলমীশ্বরেচ্ছা॥”
“বনান্তে নবমঞ্জরীর মধ্যে ঘুরতে ঘুরতে ভ্রমর প্রিয়ঙ্গুর-গন্ধ শুঁকলনা। সে কি রমণীয় নয়? ভ্রমর কি রসিক নয়? দেখা যাচ্ছে জগতে কে’ কি রকম মর্যাদা পাবে, সে বিষয়ে নিজের গুণ কোনো কাজে লাগে না। কেবল ঈশ্বরেচ্ছাই বলবতী।”
ইন্দুলেখার লেখা নিম্নোদ্ধৃত একটিমাত্র কবিতা পাওয়া যায়, এই থেকে তাঁর প্রতিভার কিছু পরিচয় আমরা পাই। তাঁর অন্যান্য রচনা লুপ্ত হ’য়ে যাওয়ায় নিঃসন্দেহ সংস্কৃত সাহিত্য এবং আমাদের দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে: