চাহেন না; কিন্তু পরিশেষে তাঁহার কথায় বিশ্বাস করিয়া তাঁহাকে সাহায্য করিতে সম্মত হন ও ১৮৪০ খৃষ্টাব্দের জানুয়ারী মাসে, প্রিটোরিয়াস্ নিজের লোকজন লইয়া পাণ্ডাকে সাহায্য করিবার মানসে ডিন্গনের বিপক্ষে দণ্ডায়মান হন। ইহা ব্যতীত, পাণ্ডার প্রায় পাঁচ ছয় সহস্র সৈন্য নন্গালজার কর্ত্তৃত্বাধীনে অপর এক স্থান দিয়া ডিন্গনের বিপক্ষে যুদ্ধযাত্রা করে।
ডিন্গনের দুইজন প্রধান কর্ম্মচারী ছিল। তাহাদিগের নাম তাম্বুসা (Tambusa) ও অম্থেলা (Umthela)। ইহাদিগের পরামর্শানুযায়ী ডিন্গন্ সমস্ত কার্য্য নির্ব্বাহ করিতেন। তাঁহার বিপক্ষে ষড়যন্ত্র হইয়াছে, ইহা অবগত হইয়া, বুয়রদিগের সহিত বন্ধুত্ব স্থাপন করিবার মানসে, ডিন্গন্ তাম্বুসাকে বুয়র-শিবিরে প্রেরণ করেন। তামবুসা কেবলমাত্র একঈ ভূত্যের সহিত (দুষ্পাঠ্য)গর নিকট উপস্থিত। হইলে, সন্ধির পরিবর্ত্তে বুয়রগণ উহাদিগকে কয়েদ করেন ও পরিশেষে উভয়কেই ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলাইয়া দেন।
ওদিকে, ১৮৪০ খৃষ্টাব্দের ৩০শে জানুয়ারী তারিখে, নন্গালজার (Nongalaza) সহিত ডিন্গনের অপর সর্দ্দার অম্থেলার (Umthela) এক ভয়ানক সংগ্রাম হয়। সেই যুদ্ধে ডিন্গনের কতকগুলি সৈন্য যুদ্ধক্ষেত্রে বিশ্বাসঘাতকতা করিয়া, পাণ্ডার পক্ষ অবলম্বন করায়, ডিন্গনের পক্ষ সম্পূর্ণরূপে পরাজিত হয়। ঐ যুদ্ধে উভয়পক্ষের বিস্তর সৈন্য হত ও আহত হইয়াছিল। ইহাতে ডিন্গনের সেনাপতি, নন্গালজার হস্তে হত হয়। ইহার পর ডিন্গন্ নিজের দেশ পরিত্যাগপূর্বক, আরও উত্তরে সোয়াজীদেশে (Swazi)