পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বারকানাথ ঠাকুর।
১১৯

ব্যক্তিগণ করস্পর্শ করিয়া অন্তরের সহিত তাঁহার সমাদর করেন।

 ২২শে জুন তারিখে কোর্ট অফ ডাইরেক‍্টারের মেম্বারেরা লণ্ডনের কোন প্রসিদ্ধ স্থানে একটী সভা করিয়া দ্বারকানাথের অভ্যর্থনা করেন। ভারতবর্ষের শাসন কর্ত্তারা এক জন বাঙ্গালী প্রজাকে এইরূপে সম্মানিত করিলেন, ইহা অবগত হওয়া বঙ্গবাসিগণের বিশেষ অনিন্দের বিষয়। ক্রমে ক্রমে তিনি মহারাণী, রাজপরিবারস্থ সমস্ত লোক এবং ইংলণ্ডের যাবতীয় প্রধান প্রধান লোকের নিকট পরিচিত হইয়াছিলেন; সর্ব্বত্রই সম্মানের সহিত পরিচিত হইয়াছিলেন। তিনি লণ্ডন হইতে তাঁহার পুত্র দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে এক পত্র লিখেন। ঐ পত্র হইতে কয়েক পংক্তি উদ্ধৃত করিলাম। “আমি আসিয়া ও ইউরোপ মহাদেশের অনেক বস্তু দেখিয়া এরূপ প্রত্যাশা করি নাই যে, ইংলণ্ড সদৃশ ক্ষুদ্র দ্বীপে আর কিছু নুতন দেখিব। লণ্ডন বাস্তবিকই বিস্ময়কর রাজধানী। লণ্ডনস্থ ব্যক্তিগণের কার্য্যপরতা, জনতা, গাড়ী, ঘোড়া, দোকান ইত্যাদিতে আমাকে বিস্মিত করিয়াছে। পূর্ব্বাহ্ন ৮টা হইতে রজনী ১২টা পর্য্যন্ত আমি কেবল লোক জনের সহিত দেখা সাক্ষাৎ করিতে ব্যস্ত থাকি। লণ্ডনে পৌছিবার দুই দিন পরেই মহারাণী কর্ত্তৃক মহা সমাদরে পরিগৃহীত হইয়াছি। যাহার ধন আছে, সে