রাজার এই কর্কশ বাণী শ্রবণে মহাবীর আকিলীস্ মহাক্রোধে হতজ্ঞান হইয়া তাহার বধার্থে উরুদেশলম্বিত অসিকোষ হইতে নিশিত অসি আকর্ষণ করিতেছেন, এমত সময়ে সুরলোকে সুরকুলেন্দ্রাণী হীরী জ্ঞানদেবী আথেনীকে ব্যাকুলিতচিত্তে কহিলেন, হে সখি! ঐ দেখো, গ্রীক্সৈন্যদলের মধ্যে বিষম বিভ্রাট ঘটিয়া উঠিল! দেবযোনি আকিলীস্ রাজা আগেমেম্ননের প্রতি ক্রুদ্ধ হইয়া তাহার প্রাণদণ্ডে উদ্যত হইতেছেন। অতএব, সখি! তুমি শিবিরে অতি ত্বরায় আবির্ভূতা হইয়া এ কাল কলহাগ্নি নির্বাণ কর।
জ্ঞানদেবী আথেনী তদ্দণ্ডে সৌদামিনীগতিতে সভাতলে উপস্থিত হইয়া বীরবর আকিলীসের পশ্চাদ্ভাগে দাঁড়াইয়া তাহার পিঙ্গলবর্ণ কেশপাশ আকর্ষণ করতঃ কহিলেন, রে বর্বর! তুই এ কি করিতেছিস? এই কথা শুনিবামাত্র বীরকেশরী সচকিতে মুখ ফিরাইয়া দেবীকে নিরীক্ষণ করিয়া কহিলেন, হে দেবকুলেন্দ্রদুহিতে! তুমি কি নিমিত্ত এখানে আসিয়াছ? রাজা আগেমেম্নন্ যে আমার কত দূর পর্য্যন্ত অবমাননা করিতে পারেন, এবং আমিই বা কত দূর পর্য্যন্ত তাহার প্রগল্ভতা সহ্য করিতে পারি, তুমি কি সেই কৌতুক দেখিতে আসিয়াছ?
আয়তলোচনা দেবী আথেনী উত্তর করিলেন, বৎস! তুমি এ সভাতে সৈন্যাধ্যক্ষ বীরবরকে যথোচিত লাঞ্ছনা ও তিরস্কার কর, তাহাতে আমার রোষ বা অসন্তোষ নাই। কিন্তু কোনমতেই উহার শরীরে অস্ত্রাঘাত করিও না। দেবী এই কয়েকটী কথা বীরপ্রবীর আকিলীসের কর্ণকুহরে অতি