মহিষী সত্যভামা এবং কুরুকুলসুন্দরী দ্রুপদনন্দিনীর নিকট নিযুক্ত ছিলাম। আমি কেশসংস্কার, বিলেপন পেষণ এবং নানাজাতীয় পুষ্পের মালা গ্রন্থন কার্য্যে নিপুণ। তবে আমার এই প্রার্থনা যে, উচ্ছিষ্টস্পর্শ বা পাদপ্রক্ষালন কার্য্য যেন আমাকে না করিতে হয়।
রাণী―তথাস্তু!—বলিয়া তাঁহাকে উপযুক্ত বসনভূষণ প্রদানপূর্ব্বক স্বীয় ভবনে আশ্রয় প্রদান করিলেন।
অনন্তর সহদেব অনুত্তম গোপবেশ ধারণ ও গোপভাষা অভ্যাস করিয়া বিরাটের নিকট উপস্থিত হইয়া রাভবনসমীপবর্ত্তী গোষ্ঠের নিকট দণ্ডায়মান রহিলেন। রাজা তাঁহার বেশ ও মুখশ্রীর সম্পূর্ণ বৈষম্য লক্ষ্য করিয়া বিস্ময়াপন্ন হইয়া তাঁহাকে আহ্বানপূর্ব্বক জিজ্ঞাসা করিলেন―
হে তাত! আমি পূর্ব্বে কখনও তােমাকে দেখি নাই, তুমি কাহার পুত্র, কোথা হইতেই বা আসিলে, আমায় সবিশেষ জ্ঞাপন কর।
সহদেব বলিলেন―আমি বৈশ্য, লোকে আমাকে তন্ত্রিপাল বলিয়া সম্বোধন করে। আমি পূর্ব্বে রাজা যুধিষ্ঠিরের গােসকলের তত্ত্বাবধারণ করিতাম, এক্ষণে আপনার নিকট সেই কর্ম্মের প্রার্থী আছি।
বিরাট সহদেবের সৌম্যমূর্তি দর্শনে অতিশয় প্রীত হইয়া বলিলেন―
তুমি অদ্যাবধি আমার সমুদয় পশুশালার কর্ত্তৃত্ব প্রাপ্ত হইলে।