এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩৬
নীলদর্পণ নাটক।
পতিশোকে উপবাসীনী, তাহাতে নয়নানন্দ নন্দনের ঈদৃশীদশা—সহসা এরূপ উন্মত্তা হওয়া সম্ভব, এবং নিদানসঙ্গত। নাড়ীর গতিক্টা দেখা আবশ্যক, কর্ত্রী ঠাকরুণ হস্ত দেন (হাত বাড়াইয়া)
সাবি। তুই আঁটকুড়ির ব্যাটা কুটির নোক্, তা নইলে ভাল মান্ষের মেয়ের হাতিধত্তে চাচ্চিস্ কেন, (গাত্রোত্থান করিয়া) দাই বউ! ছেলে দেখিস্ মা, আমি জল খেয়ে আসি, তোরে এক খান চেলির শাড়ি দেব।
(প্রস্থান)
কবি!|আহা? জ্ঞানপ্রদীপ আর প্রজ্বলিত হইবে না; আমি হিমসাগর তৈল প্রেরণ করির, তাহাই সেবন করা এক্ষণকার বিধি। (নবীনের হস্ত ধরিয়া) ক্ষীণতাধিক্যমাত্র, অপর কোন বৈলক্ষণ্য দেখিতেছি না, ডাক্তার ভায়ারা অন্য বিষয়ে গো বৈদ্য বটেন, কিন্ত কাটাকুটির বিষয়ে ভাল; ব্যয় বাহুল্য, কিন্তু একজন ডাক্তার আনা কর্ত্তব্য।—
সাধু। ছোট বাবুকে ডাক্তার সহিত আসিতে লেখা হইয়াছে।