আ। পাঁচ টাকা করিয়াই বেচিয়া থাক?
ন। আজ্ঞে না—আর মিথ্যা বলিব না। পাঁচ টাকা জোড়া।
আ। তবে আমায় এক জোড়া দাও।
ন। আপনাকে কিছু বেশী দিতে হইবে।
আমি আশ্চর্য্যান্বিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলাম, “কেন বাপু! আমার অপরাধ কি?”
আমার কথা শুনিয়া নফর হাসিতে হাসিতে বলিল, “আগে ঐ দরে পুতুলগুলি বিক্রয় করিয়াছি বটে, কিন্ত এখন আর করিতে পারিব না।”
আ। কেন?
ন। আমার একটী কারিগর উন্মাদ হইয়া গিয়াছে। সেই লোকটাই আমার ভাল কারিগর ছিল। ঐ দেখুন না, তাহার চৌকিখানি খালি পড়িয়া রহিয়াছে।
আ। সেই লোকই বুঝি ঐ শ্যামা-প্রতিমাগুলি গড়িয়াছিল?
ন। আজ্ঞা হাঁ।
আ। লোকটা হঠাৎ পাগল হইয়া গেল?
ন। আজ্ঞে হাঁ।
আ। কোন কারণ জানিতে পারিয়াছ?
ন। কই না। তবে বিনা কারণে তাহাকে একদিন হাজতে থাকিতে হইয়াছিল বলিয়াই বোধ হয়, সে পাগল হইয়া গিয়াছে।
আ। সে কি! হাজত হইল কেন?
ন। রথযাত্রার দিন একটী বাবু আমার দোকানে আসিয়া-