আ। তুমি কি জহরকে কোন কথা বলিয়াছিলে?
বৃ। যেদিন জহর থানা হইতে মুক্তি পাইয়া বাড়ীতে ফিরিয়া আসিল, সেই দিন আমি তাহার নিকট হইতে সংসার-খরচের টাকা চাহিয়াছিলাম। এই আমার অপরাধ।
আ। জহর ত নফরের দোকানে চাকরি করে; কত টাকা বেতন পায়?
বৃ। বেতন কিছুই নাই। যত কাজ করে যেই মত টাকা পায়।
আ। কেবল জহরের টাকাতেই কি তোমার সংসার চলিতেছে?
বৃ। আজ্ঞে না। আমার ছোটছেলেও প্রেসে কাজ করে। তাহার বেতন কুড়ি টাকা। সেও সমস্ত টাকা আমার হাতে দেয়।
আ। তোমার নিজের কোন আয় আছে?
বৃ। এই বৃদ্ধবয়সে কোথায় চাকরী করিব বলুন, আর কেই বা আমায় এ বয়সে চাকরি দিবে?
আ। এ বাড়ীখানি কার?
বৃ। আজ্ঞা আমার।
আ। তোমার কেনা বাড়ী?
বৃ। আজ্ঞা না; আমার পৈতৃক বাড়ী।
আ। কতদিন এখানে বাস করিতেছ?
বৃ। তিনপুরুষ।
বৃদ্ধকে আর কোন কথা জিজ্ঞাসা না করিয়া আমি ঘরের ভিতর প্রবেশ করিলাম। বৃদ্ধও আমার পশ্চাৎ পশ্চাৎ আসিল।
ঘরে গিয়া দেখিলাম, এক যুবক একস্থানে বসিয়া গম্ভীরভাবে