লোকটা কিছুক্ষণ আমার দিকে কট্মট করিয়া চাহিয়া রহিল বলিল, “আমি কে, জান? আমার নাম জহরলাল। এ অঞ্চলে আমায় কেহ চেনে না বটে, কিন্তু আমাদের ওদিকে অনেকেই এ অধীনকে চেনে।”
আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “এখানে কি করিতেছ? বাড়ীর মধ্যেই বা আসিলে কেমন করিয়া? এই সব ভাল ভাল জিনিষগুলি নষ্ট করিয়াছ কেন?”
লোকটা অট্টহাস্য় করিয়া উঠিল; সে হাসি অনেকক্ষণ থামিল না। যখন তাহার হাসি থামিল, তখন আমি তাহাকে আরও গোটাকতক কথা জিজ্ঞাসা করিলাম। কিন্তু সে কোন কথার জবাব দিল না। আপনার মনে কখন হাসিতে কখন বা বকিতে লাগিল। আমি তখন তাহাকে উন্মাদ বলিয়া ভাবিলাম এবং বাবুর কাছে ধরিয়া লইয়া যাইবার উপক্রম করিলাম। লোকটার শরীরে অসুরের মত বল। আমি নিজে বড় জোয়ান বলিয়া মনে মনে অহঙ্কার করিতাম; আমার সেই অহঙ্কার চূর্ণ হইল। এইরূপ গোলযোগে প্রায় এক ঘণ্টা কাটিয়া গেল। বাড়ীর আর আর চাকরেরা তখন উঠিয়ছিল। আমি তাহাদের একজনকে বাবুকে ডাকিতে বলিলাম। বাবুও তখনই আমার নিকট উপস্থিত হইলেন। আমি তাঁহাকে সমস্ত কথা বলিলাম। তিনি আমার কথা শুনিয়া লোকটাকে কোন কথা জিজ্ঞাসা না করিয়া, একেবারে থানায় খবর দিলেন। থানার লোক আসিয়া তাহাকে ধরিয়া লইয়া গেল।”
সদার কথা শুনিয়া আমি সুধীন্দ্র বাবুকে জিজ্ঞাসা করিলাম, “আপনার ইচ্ছা কি? লোকটাকে আমি চিনি। সে সম্প্রতি