হইয়াছে, শীঘ্রই আরোগ্য হইবে। দাদার স্ত্রীও তখন তাঁহার কথায় সায় দিলেন। কিছুক্ষণ পরে দাদা নিদ্রিত হইয়া পড়িলে আমি এখান হইতে প্রস্থান করিলাম।”
সমস্ত কথা শুনিয়া আমি শক্তিসাধন বাবুকে জিজ্ঞাসা করিলাম, “তাহার পর?”
শ। রাত্রি দশটার পর এখানকার ভৃত্য আমার বাসায় সংবাদ দিল, দাদার অসুখ বৃদ্ধি হইয়াছে। আমি তখন নিদ্রিত ছিলাম, কাজেই আসিতে বিলম্ব হইল। যখন এ বাড়ীতে আসিলাম, তখন রাত্রি প্রায় বারটা। বাড়ীতে আসিয়া যাহা দেখিলাম, তাহাতে আমার অন্তরাত্মা শুখাইয়া গেল। দেখিলাম, দাদা অচেতন অবস্থায় পড়িয়া রহিয়াছেন, ডাক্তার বাবু অতি মনোযগের সহিত তাঁহার নাড়ী পরীক্ষা করিতেছেন, আর বাড়ীর মেয়েরা রোদন করিতেছেন। আমাকে দেখিয়া দাদার স্ত্রী আরও কাঁদিয়া উঠিলেন। আমারও চক্ষে জল আসিল, আর তথায় দাঁড়াইতে পারিলাম না। ধীরে ধীরে বৈঠকখানায় আসিয়া বসিয়া পড়িলাম। এইরূপে রাত্রি শেষ হইল। দাদার আর চৈতন্য হইল না। ডাক্তার বাবু হতাশ হইয়া আটটার সময় বাড়ী ফিরিয়া গেলেন। দশটার মধ্যেই দাদা আমাদের সকলকে কাঁদাইয়া এ পৃথিবী ত্যাগ করিলেন।
শক্তিসাধনের সকল কথা শুনিয়া আমি স্তম্ভিত হইলাম। ভাবিলাম, যখন ডাক্তার বাবু প্রথম হইতে শেষ পর্য্যন্ত এখানে থাকিয়া রোগীর চিকিৎসা করিয়াছেন, তখন শক্তিসাধন কেমন করিয়া সন্দেহ করিলেন যে, হরিসাধন বাবুকে কেহ বিষ প্রয়োগে হত্যা করিয়াছেন। ডাক্তারবাবু যখন সার্টিফিকেট দিতে কিছুমাত্র দ্বিধা করিলেন না, তখন তিনি যে তাঁহার মৃত্যুতে কোন প্রকার