মিঃ ভুলাভাই দেশাই— আমি এই প্রশ্নে আপত্তি করি। ইহা পুনরায় পরীক্ষা নয়।
মেজর জেনারেল ব্ল্যাক্সল্যাণ্ড—সাক্ষী কোন উত্তর দেয় নাই। প্রকৃত চিত্র জানা বাদীপক্ষের দরকার।
জজ অ্যাডভোকেট—জেরার ভিতরই কি প্রশ্নটি উত্থাপিত হয় নাই?
মিঃ দেশাই—যাহা ব্যাখ্যা করা হয় নাই তাহাই পুনরায় পরীক্ষা করা যায়।
উক্ত আপত্তি বাতিল হইয়া যায়।
অ্যাডভোকেট জেনারেলের প্রশ্নের উত্তরে সাক্ষী বলে যে, প্রহরী ও যুদ্ধবন্দীদের মধ্যে বিরোধের কারণ এই যে, বক্তৃতার সময় তাহারা গ্রহরীদের আবির্ভাবের প্রতিবাদ জানায়।
অ্যাডভোকেট জেনারেল—বিরোধের আসল কারণ কি তাহা বল?
আদালত এই প্রশ্ন বাতিল করিয়া দেন।
আদালতের প্রশ্নের উত্তরে সাক্ষী বলে যে, একমাস কি দেড়মাস পরে তাহার হাঁটু হইতে বুলেট বাহির করা হয়। সে তখন বিদাদরী হাসপাতালে ছিল।
রবিলালের সাক্ষ্য
সরকার পক্ষের পরবর্ত্তী সাক্ষী ২০৯ গুর্খা রাইফেল রেজিমেণ্টের রাইফেলম্যান রবিলাল বলেন যে, সিঙ্গাপুরের পতনের পর যখন সে বিদাদরী শিবিরে ছিল তখন আজাদ হিন্দ ফৌজে তাহার ব্যাটালিয়ানকে যোগ দিবার অনুরোধ করিয়া বক্তৃতা দেওয়া হয়। বক্তাগণ বলেন যে, ব্যাটালিয়ানের ভাইসরয় কমিশনড ও নন-কমিশনড অফিসারগণকে একটি বন্দী শিবিরে লইয়া যাওয়া হইয়াছে এবং যাহারা আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগ না দিবে তাহাদিগকেও অনুরূপ কোন বন্দী শিবিরে প্রেরণ করা হইবে। সাক্ষী আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগ দিতে অসম্মত হয়। আজাদ হিন্দ ফৌজের জনৈক অফিসার সাক্ষীর সঙ্গে