নাই। ভাঙ্গন চলিয়াছে বটে অনেক দিকে, কিন্তু তাহা এত ধীরে ধীরে যে এক রকম লক্ষ্যই করা যায় না। অতীত একটা নিথর জগদ্দল পাথরের মত শক্ত অসাড় হইয়া পড়িয়া রহিয়াছে— তাহার মধ্যে নূতন গঠনের কোন অবকাশেরই সম্ভাবনা এখন পর্য্যন্তও দেখা যায় না। সমাজসংস্কার লইয়া খুব সোরগোল হইয়াছে বটে। কত জনা ইউরোপীয় সমাজের নমুনা ও আদর্শ দেশের সম্মুখে ধরিয়াছেন, অনেকে আবার পুরাতন কালেরই বিধিব্যবস্থা চরম সুন্দর বলিয়া ঘোষণা করিয়াছেন। কিন্তু ফলে সর্ব্বত্রই হইয়াছে বহ্বারম্ভে লঘুক্রিয়া। কারণ এরকম ভাসা ভাসা আন্দোলনে অভাব দৃঢ় নিষ্ঠা, সাধারণ লোকের উপর সে সকল কোন প্রভাবই বিস্তার করিতে পারে নাই, তাহাদের যে প্রাণের সত্য তাহাকে স্পর্শও করিতে পারে নাই। সমাজসংস্কার যখন ধর্ম্ম-প্রেরণার সহিত সংযুক্ত হইয়া দাঁড়াইয়াছে—যেমন ব্রাহ্মসমাজ, আর্য্যসমাজ প্রভৃতি কয়েকটি নূতন সমাজে— তখনই শুধু দেখি একটা স্থায়ী সমর্থ কিছু কাজ হইয়াছে। এই সাথে সাথেই আবার গোঁড়া যে হিন্দুসমাজ তাহাও আপনাকে বাঁচাইয়া বর্ত্তাইয়া রাখিবার জন্য চঞ্চল হইয়া উঠিয়াছে। বলা
পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/৮৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম
৮৪