ষ্ট্যালিন
রোমাঞ্চকর কাহিনীর দ্বারা ষ্ট্যালিনের জীবনের ফাঁকগুলি ভরিয়া দিয়াছেন। যৌবনে ষ্ট্যালিন প্রথম বিবাহ করিয়াছিলেন কিন্তু সে বিবাহিত জীবনের সুখশান্তি তিনি ভোগ করিতে পারেন নাই। যখন ষ্ট্যালিন উত্তর মেরু সাগরের তীরে নির্ব্বাসনে দিন কাটাইতেছিলেন, যখন রুশ বিপ্লবের আলোড়ন মাত্র শুরু হইয়াছে ঠিক সেই সময় ১৯১৭ সালে তাঁহার প্রথমা পত্নীর মৃত্যু হয়। এই দুর্ভাগা নারী বিবাহিত জীবনের কোন সুখ স্বাচ্ছন্দ্যই পান নাই। তাঁহার স্বামী পুলিশ ও গোয়েন্দার সতর্ক দৃষ্টি এড়াইবার জন্য কখনও অধিক দিন এক স্থানে থাকিতেন না। কখনও বা দলের নির্দ্দেশে তাঁহাকে দীর্ঘকাল আত্মগোপন করিয়া থাকিতে হইত। নির্ব্বাসনে চারি বৎসর ষ্ট্যালিন তাঁহার পত্নীর কোন সংবাদ পান নাই। অবশেষে একদিন জার গভর্ণমেণ্টের অনুগ্রহে ষ্ট্যালিন তারযোগে এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ পাইলেন যে তাঁহার পত্নীর মৃত্যু হইয়াছে। এই সংবাদে বিপ্লবী ষ্ট্যালিনের চিত্তে কিরূপ প্রতিক্রিয়ার সঞ্চার হইয়াছিল তাহা তিনি কখনও খুলিয়া বলেন নাই। চারি বৎসর নিঃসঙ্গ একক নির্ব্বাসিত জীবন যাপনের পর এরূপ মর্মান্তিক দুঃসংবাদ মানুষের চিত্তে কি বিমর্ষ ভাবাবেগ উদ্বেলিত করে তাহা আমরা অনুমান করিতে পারি মাত্র।
১৯১৭-র বসন্তকালে বিপ্লব আরম্ভ হইবামাত্র ষ্ট্যালিন নির্ব্বাসন হইতে পলায়ন করিয়া সেণ্টপিটার্সবার্গে উপস্থিত হইলেন এবং সাম্যবাদী দলের বিশ্বস্ত সদস্য কারখানার মিস্ত্রি এলিউলেভের গৃহে আশ্রয় লইলেন। তিনি প্রভাতে বাহির হইয়া যাইতেন এবং গভীর রাত্রে ফিরিতেন। ঐতিহাসিক বিপ্লব ঘটনা পরম্পরার মধ্য দিয়া সাফল্য লাভ করিল। অক্টোবর মাসে বিজয়ী সাম্যবাদী দল রাষ্ট্রের শক্তি করায়ত্ত করিল। তখনও ষ্ট্যালিন দরিদ্র শ্রমজীবির কুটীরেই রহিয়া গেলেন। অথচ তখন তিনি বিপ্লবী
১৮০