আনার বলিল,—“তাহা হইলেও তোমার উপর বিধাতার অনুগ্রহ আমাদের চেয়েও বেশী!”
লতিফ। সত্যই তাই!
আনার। আচ্ছা,—কিসে বুঝিলে?
লতিফ। বুঝিলাম অনেক—কারণে। প্রথম,—আজ “একশতী মন্সবদাবের” নিয়োগ পত্র দরবারে পাইয়াছি। বুঝিলাম, বিধাতা আমায় খুবই কৃপা করেন, কেননা তোমরাও যথেষ্ট ভালবাস। যার এ সংসারে আপনার বলিবার কেহ নাই,— অথচ যাকে তোমরা এত আপনার বলিয়া বোধ কর— স্নেহ কর—আদর কর,—তার চেয়ে ভাগ্যবান্ কে আছে আনারউন্নিসা?”
আনার। কই তোমার মন্সবদারীর পরোয়ানা খানা একবার দেখাও দেখি।
লতিফ—এ্যস্ত-ব্যস্তে তাহার উষ্ণীষমধ্য হইতে এক খণ্ড কাগজ বাহির করিয়া, আনারের হাতে দিয়া বলিল,—“পড়িয়া দেখ। ইহাতে কি লেখা আছে।”
সুরূপসী আনার উন্নিসা তাহার পিতার নিকট সে সময়ের প্রথামত, প্রয়োজনানুরূপ শিক্ষালাভ করিয়াছিল। সুতরাং মীর লতিফের মন্সবদারী পরোয়ানা খানির মর্ম্ম গ্রহণ করিতে তাহার কষ্ট বোধ হইল না। বরঞ্চ সেখানি পড়িয়া সে খুবই একটা আনন্দ বোধ করিয়া বলিল,—“খোদা তোমার মঙ্গল করুন লতিফ,! তোমাকে আরও বড় করুন।”
লতিফ বলিল,—“তোমার অন্তরের এই প্রার্থনা নিশ্চয়ই
২১