বিবাহের কথা পাড়িলেন। শিবচন্দ্র জিজ্ঞাসা করিলেন, “সম্বন্ধ কিরূপ বোধ হয়?”
নবীনচন্দ্র কৃষ্ণনাথের গুণের ও তাঁহার কন্যার রূপের প্রশংসার পুনরাবৃত্তি করিলেন; বলিলেন, “প্রভাত যদি কলিকাতাতেই কায করে, তবে এখানে বিবাহ হইলে একটা মুরুব্বি হইতে পারে।”
শিবচন্দ্র বলিলেন, “সহরের ‘বড়লোকে’র সঙ্গে কুটুম্বিতা,—ইহাতে আমার মন সরিতেছে না।”
“মেয়ে আনিব বই ত মেয়ে দিব না।”
শিবচন্দ্র হাসিয়া বলিলেন, “সেই ত বিপদ। গরীবের মেয়ে ‘বড়মানুষে’র ঘরে পড়িলে সুখে থাকিতে পারে; কিন্তু ‘বড়মানুষে’র মেয়ে আমাদের ঘরে আসিলে তাহার যে কষ্ট হইবে।”
নবীনচন্দ্র অগ্রজকে জানিতেন; আগ্রহ না দেখাইয়া বলিলেন, “সুবিধা অসুবিধা সব বিবেচনা করিয়া দেখুন।”
“তুমি কি বলিয়া আসিয়াছ?”
“আমি বলিয়া আসিয়াছি,আমি দাদাকে সব বলিব; তিনি যাহা ভাল হয় করিবেন।”
তাহার পর নবীনচন্দ্র বলিলেন, “আমাদের সন্দেহ হইয়াছিল, বুঝি বা প্রভাতের মতে এ সম্বন্ধ আসিয়াছে। আমি তাহাকে স্পষ্ট জিজ্ঞাসা করিয়াছিলাম; সে বলিল, আমার আবার মতামত কি? আপনি যাহা বলিবেন, সে তাহাই করিবে।”
কথাটা শুনিয়া শিবচন্দ্র সন্তুষ্ট হইলেন—সন্দেহ কাটিয়া গেল। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, “হরিহর কি বলিল?”
৬৫