পাতা:বেতালপঞ্চবিংশতি.pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৫২
বেতালপঞ্চবিংশতি
৫২

মধুমালতীর রূপ লাবণ্যের মাধুরী দর্শনে মুগ্ধ হইয়া এই কামিনী আমার আমার বলিয়া পরস্পর বিরোধ করিতে লাগিলেন।

ইহা কহিয়া বেতাল বিক্রমাদিত্যকে জিজ্ঞাসা করিল মহারাজ এই তিনের মধ্যে কোন্‌ ব্যক্তি মধুমালতীর পাণিগ্রহণে যথার্থ অধিকারী হইতে পারে। রাজা কহিলেন যে ব্যক্তি কুটীর নির্মাণ করিয়া এতাবৎ কাল পর্য্যন্ত শ্মশানবাসী হইয়াছিল শাস্ত্রানুসারে সেই এই কামিনীর পাণিগ্রহণাধিকারী। বেতাল কহিল যদি ত্রিবিক্রম অস্থিসঞ্চয়ন না করিত এবং বামন নানা দেশে ভ্রমণ করিয়া সঞ্জীবনী বিদ্যা সংগ্রহ করিতে না পারিত তবে কি প্রকারে ঐ কন্যা জীবনদান পাইত। রাজা কহিলেন যাহা কহিতেছ যথার্থ বটে কিন্তু ত্রিবিক্রম অস্থিসঞ্চয়ন দ্বারা ঐ কন্যার পুত্ত্রস্থানীয় হইয়াছে আর বাসন জীবনদান দ্বারা তাহার পিতৃকল্প হইয়াছে সুতরাং তাহারা এই কন্যার প্রণয়ভাজন হইতে পারে না। কিন্তু মধুসূদন ভস্মরাশি সংগ্রহ ও উটজ নির্মাণপূর্ব্বক শ্মশানবাসী হইয়া যথার্থ প্রণয়ীর কর্ম্ম করিয়াছে। অতএব সেই ব্যক্তিই এই প্রমদার পতি হইতে পারে।

ইহা শুনিয়া বেতাল ইত্যাদি।