পাতা:বেতালপঞ্চবিংশতি.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১০২
বেতালপঞ্চবিংশতি
১০২

কহিল আমি শস্ত্রবিদ্যায় অদ্বিতীয়, শব্দবেধী শর নিক্ষেপ করিতে পারি। আর আমার রূপলাবণ্যের বিষয় জগন্মণ্ডলে প্রসিদ্ধ আছে এবং আপনিও স্বচক্ষে দেখিতেছেন।

এই রূপে ক্রমে ক্রমে চারি জনের বিদ্যা ও রূপ গুণের পরিচয় লইয়া রাজা মনে মনে বিবেচনা করিতে লাগিলেন। চারি জনকেই বিদ্যা ও রূপ গুণে অসাধারণ দেখিতেছি কাহাকে কন্যাদান করি। অনন্তর আপন কন্যার নিকটে গিয়া চারি জনের গুণব্যাখ্যা করিয়া কহিলেন বৎসে এই চারি বর উপস্থিত তুমি কাহাকে মনোনীত কর। শুনিয়া ত্রিভুবনসুন্দরী লজ্জায় অধোমুখী ও নিরুত্তরা হইয়া রহিল।

ইহা কহিয়া বেতাল জিজ্ঞাসা করিল মহারাজ কোন্‌ ব্যক্তি যুক্তিমার্গানুসারে ত্রিভুবনসুন্দরীর পতি হইতে পারে। রাজা কহিলেন যে ব্যক্তি বস্ত্র নির্মাণ করিয়া বিক্রয় করে সে জাতিতে শূদ্র। যে ব্যক্তি পশু পক্ষীর ভাষা শিক্ষা করিয়াছে সে বৈশ্য। যিনি সমস্ত শাস্ত্রে পারদর্শী হইয়াছেন তিনি ব্রাহ্মণ জাতি। কিন্তু শস্ত্রবেদী ব্যক্তি কন্যার সজাতীয় সেই শাস্ত্র ও যুক্তি অনুসারে এই কন্যার পরিণেতা হইতে পারে।

ইহা শুনিয়া বেতাল ইত্যাদি।