পাতা:বেতালপঞ্চবিংশতি.pdf/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
বেতালপঞ্চবিংশতি
১৭৯

করিয়া তাহাকে প্রার্থনানুরূপ অর্থ দিয়া নিয়োগ প্রদান করিল।

মোহিনী গর্ভবতী ও যথাকালে পুত্ত্রবতী হইল। সূতিকাষষ্ঠীরজনীতে সে স্বপ্নে দেখিল দুই হস্ত পঞ্চ মস্তক প্রতিমস্তকে তিন তিন চক্ষুঃ ও এক এক অর্দ্ধচন্দ্র অতি দীর্ঘ জটাভার পৃষ্ঠদেশে লম্বমান দক্ষিণ হস্তে ত্রিশূল বাম হস্তে নরকপাল ব্যাঘ্রচর্ম্ম পরিধান ভুজঙ্গের মেখলা উজ্জ্বলরজতগিরিতুল্য কলেবর অতিশুভ্র নাগযজ্ঞোপবীত ভস্মভূষিতসর্ব্বাঙ্গ এবংবিধ আকার ও বেশবিশিষ্ট বৃষভারূঢ় এক পুরুষ তাহার সম্মুখে আসিয়া কহিতেছেন বৎসে মোহিনি তোমার পুত্ত্র জন্মিয়াছে আমি অতিশয় আহ্লাদিত হইয়াছি। এই বালক ক্ষণজন্মা। তুমি আমার আজ্ঞানুসারে ঐ শিশুকে সহস্র সুবর্ণ সহিত পেটকমধ্যগত করিয়া কল্য অর্দ্ধরাত্র সময়ে রাজদ্বারে রাখিয়া আসিবে। রাজা তাহাকে পুত্ত্রবৎ প্রতিপালন করিবেক। রাজার স্বর্গারোহণের পর তোমার পুত্ত্র তদীয় সিংহাসনের অধিকারী হইয়া ক্রমে ক্রমে নিজ প্রতাপ ও নীতিবিদ্যা প্রভাবে সসাগরা সদ্বীপা পৃথিবীর অদ্বিতীয় অধিপতি হইবেক।

এমন কালে মোহিনীর নিদ্রাভঙ্গ হইলে সে আপন জননীর নিকটে গিয়া সমস্ত বৃত্তান্ত বর্ণন করিল। ধনবতী শুনিয়া