বনবাণী
‘যা হয় তা হোক গে’, আমের মুকুল বলে উঠছে ‘কিছু হাতে রাখব না’। যারা কৃপণতা করবে তাদের সময় বয়ে যাবে।
হে মাধবী, দ্বিধা কেন, আসিবে কি ফিরিবে কি-
আঙিনাতে বাহিরিতে মন কেন গেল ঠেকি৷
বাতাসে লুকায়ে থেকে
কে-যে তােরে গেছে ডেকে,
পাতায় পাতায় তােরে পত্র সে-যে গেছে লেখি।
কখন্ দখিন হতে কে দিল দুয়ার ঠেলি,
চমকি উঠিল জাগি চামেলি নয়ন মেলি।
বকুল পেয়েছে ছাড়া,
করবী দিয়েছে সাড়া,
শিরীষ শিহরি উঠে দূর হতে কারে দেখি॥
তুমি কোন্ ভাঙনের পথে এলে, সুপ্ত রাতে
আমার ভাঙল যা তাই ধন্য হল চরণপাতে॥
নন্দিনী, ওই দেখে নাও শিশুর লীলা, ওই-যে কচি কিশলয়—
শ্যামল কোমল চিকন রূপের নবীন শােভা— দেখে যা-
কল-উতরােল চঞ্চলদোল ঐ যে বােবা॥
শিশু হয়ে এসেছে চিরনবীন, কিশলয়ে তার ছেলেখেলা জমাবার দোসর হয়ে তার সঙ্গে যোগ দিল ওই সূর্যের আলো, সেও সাজল শিশু, সারাবেলা সে কেবল ঝিকিমিকি করছে। সেই তো তার কলপ্রলাপ। ওদের নাচে নাচে মুখরিত হয়ে উঠল প্রাণগীতিকার প্রথম ধুয়োটি।
১৬২