অলৌকিক নয়, লৌকিক (তৃতীয় খণ্ড)/দ্বিতীয় পর্ব/কিছু কথা
কিছু কথা
নস্ট্রাডামুস প্রসঙ্গে
নস্ট্রাডামুস নিয়ে দুনিয়া জুড়ে একটা হই-হুলস্থুলু চলছে। ডিসেম্বর ৯১তে ন্যুইয়র্ক থেকে কলকাতা উড়ে এসেছিলেন ওদেশের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ডঃ রণজিৎকুমার দত্ত ও শ্রীমতী ডঃ দত্ত। জানালেন ন্যুইয়ার্কের অনেক তাবড় বিজ্ঞানীরা নস্ট্রাডামুসের প্রতিটি ভবিষ্যদ্বাণী মিলে যাওয়ার খবরে নাকি দস্তুরমতো জ্যোতিষশাস্ত্রে বিশ্বাসী হয়ে পড়েছেন।
নস্ট্রাডামুস কে? না সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ জ্যোতিষী এবং সবচেয়ে বেশি প্রচার পাওয়া জ্যোতিষী! পৃথিবীর বহু দেশে কয়েকশো ভাষায় লেখা হয়েছে নস্ট্রাডামুসের ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে কয়েকশো বই। বিক্রিতে দস্তুর মতো বাইবেলের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে। যুক্তিবাদীরা যদি জ্যোতিষীদের এখন জিজ্ঞেস করেন, “জ্যোতিষশাস্ত্র যে বিজ্ঞান, তার প্রমাণ কী?” জ্যোতিষীরা একটুও ঘাবড়ে না গিয়ে, একটিও ঢোক না গিলে বলবেন, “নস্ট্রাডামুসের ভবিষ্যদ্বাণী।”
নস্ট্রাডামুস এখন আর কিংবদন্তি নন, এখন কিংবদন্তি পুরুষদের মধ্যে মেগাস্টার, নস্ট্রাডামুস নিয়ে তৈরি হয়েছে অনেক ভিডিও ক্যাসেট, কোটি কোটি ডলার খরচ করে। ঝড়ের গতিতে বিক্রি হচ্ছে সে সব। আমার পুরনো স্কুলের মাস্টার মশাই থেকে বড় পত্রিকার বড় সাংবাদিক, অনেকে আমাকেই জিজ্ঞেস করেছেন, নস্ট্রাডামুসের এই যে এত এত ভবিষ্যদ্বাণী মিলে গেল, এর পর তোমরা কী বলবে?
সত্যি তো, ভাববার বিষয় বই কী? এই যে কোটি কোটি মানুষ নস্ট্রাডামুসের ভবিষ্যদ্বাণী করার অসাধারণ ক্ষমতায় বিশ্বাস করে বসে আছেন, এর সবটাই কি হুজুগ? এর সবটাই কি মিথ্যে?
পত্রপত্রিকা বই ও ভিডিও ক্যাসেটের সর্বগ্রাসী প্রচারে মানুষ উত্তেজনায় টানটান হয়ে পরিচিত হয়েছে নস্ট্রাডামুসের সঙ্গে, নস্ট্রাডামুসের অসাধারণ সব ভবিষ্যদ্বাণীর সঙ্গে। এত দিনের তাবৎ বিজ্ঞান-চেতনাকে নস্যাৎ করে দেওয়ার মতো পৃথিবী তোলপাড় করা সে-সব ভবিষ্যদ্বাণী। নেপোলিয়ান, হিটলার, মুসোলিনি, জন এফ্ কেনেডি, সাদ্দাম হুসেন, আয়াতুল্লা খুয়োমিনি, গদ্দাফি—সবারই আবির্ভাব ও তাঁদের অদৃষ্ট-লিখন জানতে পেরেছিলেন এঁদের জন্মের অনেক আগে। অভ্রান্ত ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন ফরাসি বিপ্লব, লন্ডনের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, ওয়াটারলুর যুদ্ধ, হিরোসিমা-নাগাসাকিতে আণবিক বোমা বিস্ফোরণ, এইডস রোগের ভয়াবহ আবির্ভাব, পার্ল হারবারে বোমাবর্ষণ, অলিম্পিক গেমস ইত্যাদি নিয়ে। কত রকম আবিষ্কার নিয়েই যে তিনি আগাম ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, সে-সব নস্ট্রাডামুসের ব্যাখ্যাকারদের তথ্য থেকে যতই জানবেন, ততই অবাক হয়ে যাবেন। সাবমেরিন, এরোপ্লেন, মিসাইল, রকেট, রেডিওর রাডার, বিদ্যুৎ, বেতার-যোগাযোগ, এই সব কিছু আবিষ্কারের কথাই আগাম ধরা পড়েছিল তাঁর মস্তিষ্কের রাডারে। এইডস রোগের ওষুধ আবিষ্কার হবে, এই ভরসার কথাও তিনি শুনিয়েছেন। এই সবই আমরা জেনেছি, শুনেছি, নস্ট্রাডামুসের ওপর গবেষকদের দেওয়া ব্যাখ্যা থেকে নস্ট্রাডামুস পৃথিবীতে নেই প্রায় চারশো বছর হল। তবু তিনি আছেন, জীবিত মানুষদের চেয়েও অনেক বেশি প্রবলভাবে আছেন বহু কোটি মানুষের চেতনা জুড়ে। নস্ট্রাডামুসের রহস্য অশেষ; পেঁয়াজের মতই যতই খোসা ছাড়ানো যায়, শুধুই পেঁয়াজ, পেঁয়াজ, আর পেঁয়াজ।
বাংলা পত্র-পত্রিকায় এবং বইয়ের জগতেও নস্ট্রাডামুস এসে ঢুকে পড়েছেন হুড়মুড় করে। ১৯৮৬’র সেপ্টেম্বর সংখ্যার ‘আলোকপাত’ মাসিক পত্রিকায় নস্ট্রাডামুসের যে জয়যাত্রার শুরু বাঙালাভাষীদের হৃদয়কে থরথর আবেগে কম্পিত করে, এই জয়ের রথকেই এগিয়ে নিয়ে গেছে জনপ্রিয়তম ছোটদের পাক্ষিক ‘আনন্দমেলা’ ১৪ নভেম্বর ’৯০ সংখ্যায়। এই দুয়ের মাঝে এবং পরেও বহু পত্রপত্রিকাতেই ঘুরে ফিরে বহুবার বহুভাবে হাজির হয়েছেন নস্ট্রাডামুস। ইতিমধ্যে অনেক বইও বেরিয়েছে বাংলা ভাষায়; কোনওটা শীর্ণ কলেবরে, কোনওটা সুস্বাস্থ্য নিয়ে। প্রচণ্ড জনপ্রিয়তাও পেয়েছে ডঃ সুধীর বেরার লেখা ‘নস্ট্রাডামের ভবিষ্যদ্বাণী ও ভারতের ভবিষ্যৎ’, শিবপ্রসাদ রায়ের ‘নস্ট্রাডামাসের সেঞ্চুরী ও পৃথিবীর ভবিষ্যৎ’, শম্ভুনাথ বাগচীর ‘নোস্ট্রাডামের সেঞ্চুরী ও পৃথিবীর ভবিষ্যৎ’। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষে অনিল ভট্টাচার্য নস্ট্রাডামুসের ভবিষ্যদ্বাণীর কথা শুনিয়ে হিন্দুজাতীয়তাবাদকে জাগরিত করতে সচেষ্ট হয়েছেন। শুনিয়েছেন হিন্দুদের বিশ্ব বিজয় ও মুসলমানদের ধ্বংসের দিন দ্রুত এগিয়ে আসার কথা। অনিল ভট্টাচার্যের যুক্তি, অতীতের প্রতিটি ভবিষ্যদ্বাণী যেহেতু মিলেছে সুতরাং অবশ্যই আমরা ধরে নিতে পারি, ভবিষ্যতে হিন্দুদের বিশ্ব বিজয়ের যে কথা নস্ট্রাডামুস বলেছেন তাও অবশ্যই মিলবে।
বাংলাভাষায় প্রকাশিত প্রতিটি পত্রপত্রিকা এবং বই পড়ে স্পষ্টতই এ-কথা মনে হওয়ার অবকাশ আছে—ওঁরা প্রত্যেকেই একে অন্যের লেখা দ্বারা অতিমাত্রায় প্রভাবিত হয়ে লিখে গেছেন। তবে অনেক ক্ষেত্রেই অনেক লেখাই হয়েছে একে অন্যের ‘টুকে মারা’। তবে এই সব লেখার প্রধান সূত্র অবশ্যই নস্ট্রাডামুসের শ্লোকগুলোর প্রধানতম ব্যাখ্যাকারী এরিকা চিটহ্যাম-এর বই। তারই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নানা কল্পনা এবং উদ্দেশ্য।
জানি, এর পরই যে প্রশ্নটা বড় হয়ে দেখা দেবে, সেটা হল, “টুকেই মারুক আর যাই মারুক, তাতে কী? আসল কথা, নস্ট্রাডামুস সত্যিই এইসব ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন কি না? যদি না করে থাকেন, তবে যুক্তি, তথ্য দিয়ে প্রমাণ করুন এতাবৎকাল এই বিষয়ে যত লেখা প্রকাশিত হয়েছে, সবই মিথ্যে, গুলগপ্পো। আর যদি বাস্তবিকই মিলে গিয়ে থাকে, তবে তাকে স্বীকার করে নেওয়ার সততা কেন যুক্তিবাদীরা দেখাবেন না? যুক্তিবাদীরা কী শুধু নামেই ‘যুক্তিবাদী’? কাজের বেলায় মুক্তমনা কি ওঁরা হবেন না? খোলামেলা মন নিয়ে নস্ট্রাডামুসকে গ্রহণ করতে অসুবিধে কোথায়? ভয়? অদৃষ্টবাদের বিরোধিতা করার ব্যাপারটাই ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ভয়?”
আসলে যুক্তিবাদীদের, বিজ্ঞানমনস্কদের সত্য থেকে মুখ ঘুরিয়ে রাখার কোনও উপায় নেই। সত্য থেকে মুখ ঘুরিয়ে যুক্তিবাদী, আর ‘সোনার পাথর বাটি’—একই ব্যাপার। সুতরাং খোলামনে সত্যানুসন্ধান যুক্তিবাদীদের মূল-মন্ত্রগুলোর অন্যতম। আবার কথাটা উচ্চারণ করছি, “বহুলোক বলছে, অতএব সত্যি” এই কথাটা মেনে না নিয়ে আমরা, যুক্তিবাদীরা ‘সত্যানুসন্ধান’-এ নামি। তারপর যে সত্য প্রকাশিত হয়, তাই মেনে নিই আমরা। একই ভাবে খোলামনে প্রত্যেককেই সত্যকে মেনে নেওয়ার কথাই বলি আমরা। যুক্তি দিয়ে বিচারের পরেই আসা উচিত কোনও তথ্য বা তত্ত্বকে গ্রহণ বর্জনের প্রশ্ন। বহু লোক বহু কিছুই এক সময় মানতেন, কিন্তু সে সব ধারণা কি আপনি আমিই বাতিল করে দিইনি? এক কালের সর্বজনীন ভূকেন্দ্রিক বিশ্বতত্ত্ব কি আজ বাতিল হয়ে যায়নি? সব সময় অজ্ঞানতা থেকেই যে আমরা ভুল বুঝি—এও সত্য নয়। মনোবিজ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে কিছু বুদ্ধিজীবী মানুষ দেখেছেন, এক নাগাড়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নানাভাবে মিথ্যে প্রচার চালিয়ে গেলে মানুষের মগজে মিথ্যেকেও সত্যি বলে চালান করা যায়। তাই অনেক সময় যুক্তিবাদীদের লড়াইটা শুধুমাত্র অজ্ঞানতার বিরুদ্ধেই সীমাবদ্ধ থাকে না; মিথ্যে প্রচারের বিরুদ্ধেও চালাতে হয়। মিথ্যে প্রচার কিন্তু সব সময় যে সব সময় দুর্বল প্রচার হবে, এমনটা ভাবারও কোনও কারণ দেখি না। অনেক সময় এই মিথ্যে প্রচারের পেছনে থাকে সুচিন্তিত পরিকল্পনা। তবু সত্যি জয়ী হয়, যুক্তি জয়ী হয়; কারণ বেসিক্যালি মানুষ যুক্তিকেই ভালবাসে।
এতক্ষণ নস্ট্রাডামুসের বিষয়ে যে-সব লিখেছি, সে-সবই নস্ট্রাডামুসের ব্যাখ্যাকারদের ব্যাখ্যার কথা। এইসব ব্যাখ্যা অনেক মানুষকে রাতারাতি জনপ্রিয়তা দিয়েছে, অর্থ দিয়েছে—এই সম্মান ও স্বর্ণতৃষ্ণাতেও কেউ কেউ আকর্ষিত হতেই পারেন। “বিষয়টা পাবলিক খাচ্ছে ভালো”–এই চিন্তাতেই অনেক সুযোগসন্ধানী আখের গোছাতে ফিল্ডে নামতেই পারেন; যেমন আগে ‘বার্মুডা ট্র্যাঙ্গেল’ ও ‘দানিকেন’ নিয়ে অনেকে আসরে নেমেছিলেন।
সত্যানুসন্ধানের ক্ষেত্রে যে নিরপেক্ষতা একান্তই প্রয়োজনীয়, যে সততা অনিবার্য, যে শ্রম অমোঘ, সে-সবই চূড়ান্তভাবে বজায় রেখেই নস্ট্রাডামুসের আশ্চর্য রহস্যময়তার চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে সচেষ্ট হয়েছি। লেখার শুরুতেই আপনাদের এই নিশ্চয়তা দিচ্ছি, শুধুমাত্র বাংলা পত্রপত্রিকা ও বইপত্তরের ওপর নির্ভর করে যুক্তির কাটাকুটি খেলতে বসবো না। নস্ট্রাডামুস নিয়ে অনুসন্ধান চালাবার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত বিদেশি ভিডিও ক্যাসেট, বিদেশি বইপত্তর, নস্ট্রাডামুসের মূল লেখা, তার ফরাসি থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ-সব কিছু নিয়েই সত্যানুসন্ধানে নেমেছিলাম। সমস্ত দুর্মূল্য তথ্য আমার হাতে তুলে দিতে সাহায্য করায় আমি ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির কাছে ঋণী, কৃতজ্ঞ।
এর পরও কেউ প্রশ্ন করতে পারেন, বিষয়টা সমিতির অন্য কেউ না লিখে আমি কেন লিখছি। সমিতির বহু শ্রদ্ধেয় সদস্য আছেন, যাঁরা কলম ধরেন; বলিষ্ঠভাবেই ধরেন। খুশবন্ত সিং, ডঃ পবিত্র সরকার, মহাশ্বেতা দেবী, নারায়ণ চৗধুরী, নারায়ণ স্যান্যাল, ডাঃ বিষ্ণু মুখার্জি, সৈয়দ মুস্তফা সিরাজ, পথিক গুহ, ডঃ অমিত চক্রবর্তী, যুগলকান্তি রায় এবং আরো অনেক শক্তিমান লেখক-লেখিকাই তো আমাদের সমিতির সঙ্গে, আমাদের আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। এই সব শ্রদ্ধেয়-শ্রদ্ধেয়াদের কাছে আমি নিশ্চয়ই অতি সামান্য। কিন্তু আমাদের সমিতির চিন্তা-ভাবনার নিরিখে কারো সন্তান হওয়াটা লেখার পক্ষে যোগ্যতা অর্জনকারী বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী নয়; তাই লিখছি।
নস্ট্রাডামুসের সমস্ত শ্লোক নিয়ে (৯৪২টা) আলোচনা করিনি, বইটা স্বাস্থ্যবান হলে দামটাও হৃষ্টপুষ্ট হতে বাধ্য হবে ভেবে। আলোড়নসৃষ্টিকারী প্রধান প্রতিটি শ্লোকই অবশ্য আমরা লেখায় এনেছি।
সবটা পড়ার পড়েও যদি কোনও সন্দেহ জাগে বা খট্কা
লাগে, দ্বিধা না করে চিঠি লিখবেন। শুধু একটি
অনুরোধ; সঙ্গে একটা জবাবী খাম পাঠাতে
ভুলবেন না। উত্তর অবশ্যই দেব।
নস্ট্রাডামুসের সমস্ত শ্লোক নিয়ে আরো তথ্য দিয়ে একটা পরিপূর্ণ কাজ করার প্রচণ্ড ইচ্ছে রয়েছে। আমার মনে হয়, অদৃষ্টবাদের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার এই নস্ট্রাডামুসের রহস্যজালকে ছিন্নভিন্ন করা খুবই প্রয়োজনীয়; বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুন্দর পৃথিবী গড়তে অদৃষ্টবাদকে ভাঙতে হবে বলেই প্রয়োজনীয়। আপনাদের ভালোলাগা, আপনাদের আন্তরিক ইচ্ছের দিকে তাকিয়ে আছে আমার কলম, আমার অন্তরস্থল। আপনাদের ইচ্ছের সঙ্গে আমার ইচ্ছে গেঁথেই তৈরি হতে পারে আমার পরবর্তী বই।
এবার আসুন, আমরা নস্ট্রাডামুসের ভবিষ্যদ্বাণীর আশ্চর্য জগতে প্রবেশ করি।
পিনাকী ঘোষ
৯/১, মোতিঝিল অ্যাভিনিউ,
কলকাতা ৭০০ ০৭৪
পুনঃ ‘আজকাল’ পত্রিকার শারদীয়া সংখ্যায় (১৯৯১) নস্ট্রাডামুস নিয়ে আমার যে বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছিল, সেই বক্তব্য নাকি আমেরিকার ভারতীয় বিজ্ঞানীদের মধ্যে প্রচণ্ড রকমের সাড়া ফেলে দিয়েছে। লেখাটার জেরক্স কপিও নাকি করা হয়েছে হাজারে হাজারে। বাংলার ইংরেজি অনুবাদ টাইপ করিয়ে তার জেরক্স কপি করা হয়েছে। অতি সাগ্রহে সেই কপি সংগ্রহ করেছেন আমেরিকা যুক্তরষ্ট্রের বিশিষ্ট বিজ্ঞানীরা। খবরটা দিয়েছেন আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট রসায়ন বিজ্ঞানী এবং ওখানকার একমাত্র বাংলা পত্রিকার সম্পাদক ডঃ রণজিৎকুমার দত্ত। ইতিমধ্যে ওই সূত্র ধরে আমেরিকা ও কানাডা থেকে চিঠির ঝাঁক আসা শুরু হয়েছে।